Last Updated: January 18, 2012 14:03

লোকায়ুক্ত নিয়োগ ইস্যুতে ফের ধাক্কা খেলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৫ অগাস্ট অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি আরএ মেহতাকে রাজ্যের লোকায়ুক্ত নিয়োগের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করেছিল মোদী সরকার। সেই আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাট হাইকোর্ট।
আরএ মেহতাকে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করেন গুজরাটের রাজ্যপাল কামলা বেনিওয়াল। এ ব্যাপারে মোদীর আপত্তি ছিল, রাজ্যপাল, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই মেহতাকে লোকায়ুক্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নিয়োগকে অসাংবিধানিক ও পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে গুজরাট হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে মোদি সরকার। এরপর গত ১১ অক্টোবর লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের দু`জন বিচারপতি দু`রকম রায় দেন। বিচারপতি কুরেশি মোদীর অভিযোগ খারিজ করে দেয়। অন্যদিকে বিচারপতি গোকানি জানায়, রাজ্যপালের লোকয়ুক্ত নিয়োগ অসাংবিধানিক। এর পর মামলাটি বিচাপতি ভিএম সহায়ের এজলাসে যায়। বুধবার বিচারপতি সহায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মোদীর অভিযোগ খারিজ করে রাজ্যপালের লোকায়ুক্ত নিয়োগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখে। গুজরাট সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে তারা। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে, একদিকে সংসদে লোকপালের পক্ষে সরব বিজেপি, অন্যদিকে গুজরাটে লোকায়ুক্ত নিয়োগের বিরোধিতায় তারা সরব। এই অবস্থান লোকপাল ইস্যুতে বিজেপির দ্বিচারিতাকেই প্রকট করছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।

এমনিতেই গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা নিয়ে যথেষ্ট চাপে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গত সপ্তাহে গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে নিয়োজিত নানাবতী কমিশনের সামনে দেওয়া ৩ ঘণ্টার জবানবন্দিতে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গোর্ধন ঝদাফিয়া অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপের কারণেই দাঙ্গা মোকাবিলায় সক্রিয় হতে পারেনি প্রশাসন। গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় আটক দুষ্কৃতীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদী নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন ঝদাফিয়া। এই নিয়ে মোদী প্রশাসন যখন রীতিমতো অস্বস্তিতে তখন লোকায়ুক্ত নিয়ে হাইকোর্টের রায় নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা দিল গুজরাট সরকারকে।
First Published: Thursday, January 19, 2012, 08:40