প্রায় দুবছর পর ডার্বি জিতে শাপমুক্তি মোহনবাগানের

প্রায় দুবছর পর ডার্বি জিতে শাপমুক্তি মোহনবাগানের

প্রায় দুবছর পর ডার্বি জিতে শাপমুক্তি মোহনবাগানেরমোহনবাগান (১) ইস্টবেঙ্গল (০)
(কাতসুমি)

প্রায় দুবছর পর ডার্বি জিতল মোহনবাগান। ঘরোয়া লিগের বড়ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিল সবুজ-মেরুন। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন জাপানি মিডফিল্ডার কাতসুমি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের কাছে হারের ফলে লিগ জয়ের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের।

শনিবার সন্ধ্যেয় যুবভারতীর ছবিটা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে কয়েকদিন আগেই ঘরোয়া লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি হেরে ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারিতে তখন নীরবতা। উল্টোদিকে বড়ম্যাচ জিতে মোহনবাগান শিবিরে বাঁধনছাড়া উচ্ছাস। প্রায় দুবছর পর যুবভারতীতে চিরপ্রতিন্দন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল আগেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচের সেভাবে কোনও গুরুত্ব ছিল না। তবে দীর্ঘ সময় কোনও ট্রফি না পাওয়া মোহনবাগান ফুটবলার-রা চেয়েছিলেন সমর্থকদের জন্যই এই ম্যাচ জিততে।

জেতার জন্যই যে তারা মাঠে নেমেছেন যা ওডাফাদের প্রথম দশ মিনিটের খেলা দেখেই পরিষ্কার হয়ে যায়। একেবারে শুরুতেই পঙ্কজ মৌলার শট দুরন্ত সেভ করেন গুরপ্রীত। ডেনসনের শট গোললাইন সেভ হয়। দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন ওডাফা। টুকরো টুকরো হাইলাইটসগুলোই প্রথমার্ধে মোহনবাগান কতটা চাপে রেখেছিল লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলকে। সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছেও। চিড্ডির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ওকেলি ওডাফাকে। বিপক্ষের সেরা তারকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল।

গোলের সুযোগ তৈরি করলেও,জালে বল জড়াতে পারেননি মোগা,ডিকারা। শেষপর্যন্ত দুরন্ত গোল করে মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করে দেন জাপানি তারকা কাতসুমি। আই লিগের ডার্বিতে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল মোহনবাগান। ফেডকাপের আগে বড়ম্যাচের আগে ওডাফাদের যে বাড়তি অক্সিজেন দেবে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে বড়ম্যাচ হেরে লিগ জয়ের আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে গেল লাল-হলুদের। সেই সঙ্গে অপরাজিত থেকে ঘরোয়া লিগ জেতা হল না আর্মান্দো কোলাসোর দলের।

ম্যাচ জয়ের পর মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে কার্যত উত্‍সব শুরু হয়ে যায়। মোহন ক্লাব কর্তারা বলছেন, আজকের ডার্বি জয়টা ক্লাবের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে।

First Published: Saturday, January 11, 2014, 20:23


comments powered by Disqus