Last Updated: May 21, 2013 12:32

নতুন বিল, চিটফান্ডের তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট, এমনকী কমিশনও তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু আদৌ কি তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন? টাকা ফেরত পাওয়ার পথ কী? ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আমানতকারীদের কান্না হাহাকারের পরে অবশেষ উদ্যোগী হল সরকার। কমিশন, আর সিট তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধরা পড়েন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়।
সুদীপ্তর বিরুদ্ধে মামলা হয়,
৪২০ ধারা অনুসারে প্রতারণা
৪০৬ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ
৫০৬ ধারা অনুসারে অপরাধমূলক প্রবণতা
১২০বি ধারা অনুসারে ষড়যন্ত্র
চিটফান্ড ও মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ও ৭ ধারা। এর সবকটিই ফৌজদারি আইনের মামলা। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তদন্ত করছে এই ফৌজদারি ধারা অনুসারেই। রাজ্য সরকারের সাফল্য, আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হতে না দেওয়া। অন্তত কমিশন তৈরি করে অভিযোগ জানানোর একটা জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। যাতে ক্ষোভ জমে বিস্ফোরণ না ঘটে। তাই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনে। কিন্তু কতদিনে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বা আদৌ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কিনা তার কোনও সদুত্তর মিলছে না।
অন্যদিকে, টাকা ফেরত পেতে ব্যবস্থা
১. দেওয়ানি বিধির ১৯ ধারা অনুসারে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা দায়ের করা যেতে পারে
২. যেহেতু আমানতকারীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ তাই দেওয়ানি বিধির অর্ডার ১, রুল ৮ অনুসারে অনুমোদন নিতে হতে পারে
৩. অর্ডার ৪০ অনুসারে আদালতে রিসিভার বসানোর জন্য আবেদন জানানো যেতে পারে
৪. দেওয়ানি বিধির অর্ডার ৩৮ রুল ৫ অনুসারে আদালত সন্তুষ্ট হলে মামলার নিষ্পত্তির আগেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে
৫. সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর চিটফান্ড সংস্থার নামে বহু সম্পত্তির দলিল ও কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। কিন্তু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য কোনও দেওয়ানি মামলা হয়নি। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার আইনি ব্যবস্থাও হয়নি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে একমাত্র এই পথেই টাকা ফেরত পাওয়া সম্ভব।
First Published: Tuesday, May 21, 2013, 12:32