Last Updated: August 11, 2013 11:50

চাপে পড়ে বনধের রাস্তা থেকে সরার ইঙ্গিতই দিল মোর্চা। তবে আন্দোলন থামছে না। মঙ্গলবার থেকে 'জনতার কারফিউ' চালু হবে বলে জানিয়েছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। পাহাড় সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছে মোর্চা। অন্যদের পাশে পেতে মরিয়া মোর্চা আগামিকাল সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে। তাতে শাসক দল তৃণমূলকে যেমন ডাকা হয়েছে, তেমনই ডাকা হয়েছে সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ-কেও।
শনিবারই বনধ তুলতে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার অস্ত্র করছে হাইকোর্টের রায়কে। হাইকোর্টের ঢালের আড়ালে আত্মরক্ষার নতুন রাস্তা বের করতে চাইছেন মোর্চার নেতারা। তাঁরা বলছেন, আর বনধ নয়, এবার জনতার কারফিউ।
রাজ্যের চাপে অনেকটাই কোণঠাসা মোর্চা বল ঠেলে দিয়েছে কেন্দ্রের কোর্টে। পাহাড় সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে ইউপিএ চেয়ারপার্সন, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোর্চা সভাপতি।
ফেসবুক পোস্টেও আবেগ উস্কে দিয়ে বিমল গুরুং লিখেছেন, ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা কংগ্রেসকে ১৭টি সাংসদ দিতে পারে কিন্তু মনে রাখতে হবে গোর্খারাই দেশকে নিরাপত্তা দেন। গুরুং লিখেছেন, লোকসভায় হয়তো তাঁরা নির্ণায়ক শক্তি নন, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই দেশের নিরাপত্তায় তাঁরা ভূমিকা নেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তাই বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মেনে নেওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন গুরুং।
নিজেদের চারপাশে অন্যদের পাওয়ার চেষ্টাও শুরু করে দিয়েছ মোর্চা। সোমবারই ডাকা হয়েছে সর্বদল বৈঠক। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ মোর্চা কিন্তু সর্বদল বৈঠকে ডেকেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ডাকা হয়েছে বামেদের। এমনকী বাদ যায়নি সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ-ও।
ভিন রাজ্যের গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেছে মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরের দিনই স্পষ্ট, কোণঠাসা, দিশেহারা মোর্চা এখন সমাধানসূত্রের খোঁজে মরিয়া।
First Published: Sunday, August 11, 2013, 18:33