Last Updated: July 12, 2014 21:31

রাজ্যে বিজেপির উত্থান ঠেকাতে বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগকে হাতিয়ার করল তৃণমূল। সন্দেশখালির জনসভায় তৃণমূল নেতাদের আক্রমণের নিশানা ছিল মোদীর দল ও সরকার। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সভার আয়োজন হলেও শাসকদলের আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল দিল্লি।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর চব্বিশ পরগনার বুড়াবেড়ি পঞ্চায়েতে এলাকায় সাংগঠনিক দিক থেকে ভাল অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। এই এলাকা থেকেই আগামী বিধানসভা ভোটে জমি তৈরির কাজ শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আচ্ছে দিন আনে ওলা হ্যায়, মোদীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন মুকুল রায়। মোদী সরকার আসার এক মাসের মধ্যে যেভাবে জিনিসের দাম বেড়েছে তার উদাহরণ তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতারা।
মুকুল রায় বলেন, যেভাবে একমাসে দাম বেড়েছে কার সুদিন এসেছে ভাবতে হবে।
সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্র সিপিআইএমের দখলে হলেও বিজেপি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বুড়াবেড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। এলাকা দখলের লড়াইয়ে বারবার অশান্ত হয়েছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে গত রবিবারই এখানে সভা করেছিলেন গৌতম দেব। শনিবার তৃণমূল পাল্টা সভা করলেও আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশকে বিঁধেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও মুকুল রায়। সরকারের ভাল কাজের প্রচার না করে সরকারের কুত্সা করাই তাদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা।
First Published: Saturday, July 12, 2014, 21:35