Last Updated: January 25, 2012 14:19

সাত বছর আগের `এস স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি` নিয়ে নতুন করে দানা বাঁধল বিতর্ক। এদিন এস স্পেকট্রাম কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার তাঁরই উত্তরসূরী কে চন্দ্রশেখেরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুললেন।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা `ইসরো`-র বাণিজ্যক শাখা `অন্তরীক্ষ`-এর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে বিধি ভেঙে দেভাস নামে একটি বাণিজ্যিক সংস্থাকে মাত্র ১০০০ কোটি টাকায় ৭০ মেগা হার্ত্জ স্পেকট্রাম বণ্টনের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের থ্রি-জি স্পেকট্রাম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী (১৫ মেগাহার্ত্জ এর দাম ৬৭,৭১৯ কোটি) যার বাজারমূল্য হওয়া উচিত ছিল অন্তত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা।
পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর প্রবল রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে দেভাস-এর সঙ্গে স্পেকট্রাম ডিল বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনস্থ সংস্থা ইসরো। সেই সঙ্গে পুরো ঘটনার জন্য ইসরো`র তত্কালীন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার, বিজ্ঞানসচিব কে ভাস্করনারায়ণ, অন্তরীক্ষ-এর প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে আর সিদ্ধার্থমূর্তি এবং ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টার-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর কে এন শঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। অভিযোগ, মহাকাশ মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব তথা দেভাস কর্তা কে এম চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্যের কারণেই নিয়ম বহির্ভূত `এস স্পেকট্রাম` চুক্তি কার্যকর করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

`এস স্পেকট্রাম` চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গত বছরের মে মাসে প্রাক্তন সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রত্যুষ সিংহের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে মাধবন নায়ার-সহ অভিযুক্ত বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। অভিযুক্ত প্রাক্তন ইসরো কর্তারা কোনও অবস্থাতেই সরকারি কোনও পদে থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
আর গোল বেধেছে এখানেই! তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জি মাধবন নায়ার সরাসরি চক্রান্ত করার অভিযোগ এনেছেন ইসরো`র বর্তমান ডিরেক্টর কে রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে। প্রথিতযশা মহাকাশ বিজ্ঞানী মাধবনের দাবি, কিছু ব্যক্তিগত কারণেই `এস স্পেকট্রাম` চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতিতে তাঁকে দোষী প্রমাণিত করার জন্য তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করেছেন রাধাকৃষ্ণন। মিশন চন্দ্রযান প্রকল্পের রূপকারের আক্ষেপ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই তাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ এস ব্র্যান্ড স্পেকট্রাম-এর জন্য দেভাসের পাশাপাশি আরও তিনটি সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিলেন তিনি। সরকারের ব্যবহারে মর্মাহত রাধাকৃষ্ণনের প্রশ্ন, `আমি কি এক জন সন্ত্রাসবাদীর থেকেও খারাপ?`
First Published: Wednesday, January 25, 2012, 14:22