প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ বিদ্রোহী বিজেডি নেতার

প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ বিদ্রোহী বিজেডি নেতার

প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ বিদ্রোহী বিজেডি নেতারনেতৃত্বের লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডেই নবীন পট্টনায়কের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়লেন বিদ্রোহী বিজেডি নেতা পেয়ারিমোহন মহাপাত্র। ভুবনেশ্বরের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বলছে শাসক বিজু জনতা দল (বিজেডি)-র সিংহভাগ বিধায়কই বিজু-পুত্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে লন্ডন সফররত ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মিডিয়ার উদ্দেশ্যে জারি করা এক বিবৃতিতে দলে কোনওরকম ভাঙনের কথা অস্বীকার করেছেন। রাজ্যে তাঁর অনুগামী নেতা-বিধায়করাও দফায় দফায় বৈঠক করে নিজেদের শক্তি সংহত করার কাজ শুরু করেছে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পারাদ্বীপের বিজেডি সাংসদ বৈজয়ন্ত পণ্ডা।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বিদ্রোহী পেয়ারিমোহন অভিযোগ করেছেন, তাঁকে খুন করার জন্য 'সুপারি কিলার' ভাড়া করেছেন নবীন অনুগামী এক বিজেডি বিধায়ক। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ পেয়ারিমোহন দীর্ঘ এক দশক নবীন পট্টনায়েকের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৭ সালে নবীন পট্টনায়েক জনতা দল ভেঙে প্রয়াত পিতা বিজু পট্টনায়কের নামে নতুন রাজনৈতিক জল গঠনের কিছুদিন পরই তাতে যোগ দেন প্রাক্তন আইএস অফিসার পেয়ারিমোহন।

সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রথমে পেয়ারিমোহনের বাড়িতে এবং পরে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেলে বিজেডির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। অংশ নেন ২৫ থেকে ২৮ জন বিজেডি বিধায়ক। ছিলেন, নবীন মন্ত্রিসভার ৪ সদস্য- সারদা নায়েক, সঞ্জীব শাহু, অঞ্জলি বেহেড়া এবং বদ্রীনায়ায়ণ পাত্র-ও। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এখন লন্ডন সফরে রয়েছেন। ১ জুন তাঁর দেশে ফেরার কথা। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়ার জন্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা শুরু করে পেয়ারিমোহন গোষ্ঠী।

১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় শাসকদল বিজেডির ১০৪টি আসন রয়েছে। কংগ্রেসের রয়েছে ২৭টি আসন। এছাড়া, এনসিপি`র ৪, বিজেপি`র ৬, নির্দল ৬ এবং সিপিআই-এর ১ জন বিধায়ক রয়েছেন। পেয়ারিমোহন শিবিরের দাবি, অন্তত ৩৫-৪০ বিজেডি বিধায়ক এখনই দল ছেড়ে বেরোতে রাজি। ফলে তাঁদের দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়ায় কোনও আশঙ্কা নেই। সরকার গঠনের ম্যাজিক অঙ্কে পৌঁছতে কংগ্রেস বিধায়কদের পাশাপাশি এনসিপি এবং বিজেপি বিধায়কদের সমর্থনও তাঁদের দিকে রয়েছে বলে বিক্ষুব্ধ শিবিরের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দল ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৫ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রমাণ দিতে পারেনি পেরারি-শিবির। অতীতে বিজয় মহাপাত্র, রামকৃষ্ণ পট্টনায়ক, দীলিপ রায়, শ্রীকান্ত জেনার মতো নেতার নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে ক্ষমতার দন্দ্বে পরাভূত হয়েছেন। এবার বিজু-তনয়ের বিরুদ্ধে পেয়ারিমোহনের বিদ্রোহও নিস্ফলা হতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান।






First Published: Wednesday, May 30, 2012, 16:55


comments powered by Disqus