মধ্যমগ্রামকাণ্ডে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নীতীশ কুমার

মধ্যমগ্রামকাণ্ডে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নীতীশ কুমার

মধ্যমগ্রামকাণ্ডে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন নীতীশ কুমারমধ্যমগ্রামকাণ্ডে আরও অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের। বিহার সরকার সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পর, এবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামিকালই বিহার যাচ্ছেন মধ্যমগ্রামকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার। মেয়ের ওপর অমানবিক অত্যাচার। বাড়ি বদল। রাতের অন্ধকারে শুধু দুষ্কৃতীদেরই নয়, হুমকি দিয়েছে পুলিসও। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার। অভিযোগ দুষ্কৃতীরাই বাড়িতে ঢুকে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরেও পাশে দাঁড়ায়নি পুলিস, পাশে দাঁড়ায়নি সরকার।

উল্টে দ্রুত দেহ সত্কারে তত্পর হয়ে ওঠে পুলিস। পরিবার ঘটনার সিবিআই তদন্তে চাইলে তার বিরোধিতা করে সরকার। মধ্যগ্রামকাণ্ডে সরকারের ভূমিকায় সরব হন বিশিষ্টজনেরা। এবার এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেয় বিহার সরকার। কলকাতায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিহারের বিধায়কদের এক প্রতিনিধি দল। কলকাতায় এসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে যান বিহার পুলিসের এক উচ্চপদস্থ কর্তাও। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বিহার যাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার।

পুলিস, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে ইতিমধ্যেই নালিশ জানিয়ে এসেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। গিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনেও। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিচারের আশায়। মধ্যমগ্রামকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নয় কেন, রাজ্যের কাছে তার জবাব চেয়েছে হাইকোর্টও। তারপরেও কার্যত নিরুত্তাপ সরকার। বিহার থেকে পেটের তাগিদে বছর ছাব্বিশ আগে কলকাতায় চলে এসেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তারপর এ রাজ্যেরই বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন এই ট্যাক্সি চালক। কিন্তু এই রাজ্য তাঁকে আশ্বস্ত করতে পারল না। তাই মেয়ের বিচারের আশায় আবার তাঁকে বিহারি পরিচয়েই ছুটতে হচ্ছে পাশের রাজ্যে।

First Published: Saturday, January 11, 2014, 20:36


comments powered by Disqus