Last Updated: November 15, 2013 23:29

ত্রাণ আসছে প্রায় গোটা বিশ্ব থেকেই। কিন্তু, আদতে কি তা পৌঁছচ্ছে দুর্গতদের কাছে? এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে টাইফুন বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সে। ভেঙে পড়েছে সব পরিকাঠামো। আর তার থেকেও বড় কথা। জায়গা মতো ত্রাণ পৌঁছনোর আগেই লুঠ হয়ে যাচ্ছে সবকিছু।
একটা ঝড়। আর তাতেই আমূল বদলে গিয়েছে ফিলিপিন্সের একটা বড় অংশের মানচিত্র। এখনও বহু জায়গা থেকেই সরানো সম্ভব হয়নি ধ্বংসস্তূপ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে পরিস্থিতি? সঠিক উত্তরটা জানা নেই প্রশাসনের। এই অবস্থায় ভরসা আন্তর্জাতিক সাহায্য। চাইতে হয়নি। তার আগেই আসতে শুরু করেছে। কিন্তু, যাদের জন্য এই সাহায্য, তারা কি পাচ্ছেন? বাস্তব কিন্তু অন্য কথাই বলছে।
হ্যাঁ, তাণ্ডবের পরদিনই এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট। দিয়েছিলেন সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও। কিন্তু, আদতে তা কিছুই হয়নি। অস্ট্রেলিয়া, চিন, ইওরোপ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, লন্ডন, আরব দেশ---সাহায্য এসে পৌঁছেছে এই সব দেশ থেকে। ত্রাণ নিয়ে হাজির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। জাহাজ এসে ভিড়েছে ফিলিপিন্সে। ত্রাণসামগ্রী বণ্টনের জন্য তৈরি লোকজনও। কিন্তু, কাজ এগোয়নি প্রত্যাশামতো। কারণ, নেই ন্যূনতম পরিকাঠামো। বাধা শুধু পরিকাঠামোই না। বিলি হওয়ার আগে বহু জায়গায় লুঠ হয়ে গিয়েছে ত্রাণের জিনিস। চেষ্টা করেও তাতে লাগাম পরাতে পারেনি প্রশাসন। এই অবস্থায় বেঁচে থাকার সামান্য রসদটুকুও পাচ্ছেন না বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ। দুরবস্থার এই মেঘের মধ্যেও অবশ্য দেখা গিয়েছে রূপোলি রেখা। টাকলোব্যান এলাকায় খোলা সম্ভব হয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরুও হয়েছে জ্বালানি কেনাবেচা।
First Published: Friday, November 15, 2013, 23:29