Last Updated: December 29, 2013 17:41

জলপাইগুড়ি শহরে কেপিপির অভিযান কর্মসূচি বাতিল করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড় থেকে বিডিও অফিস ও পিডব্লু ডি মোড় থেকে ডিএম অফিস পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আগামীকাল জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনার অফিস ঘেরাওয়ের কথা কেপিপির। শুধু কেপিপি নয়,প্রশাসন জলপাইগুড়ি সদরে আগামী তিনদিন কোনও রাজনৈতিক দলকেই রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে পাহাড়পুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চন্দন রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। চন্দন রায়ের দশ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, চন্দনের মোবাইল থেকে বিস্ফোরণে জড়িত থাকার মতো বেশ কিছু যোগসূত্র মিলেছে৷ সেই কারণেই এই গ্রেফতারি৷
জলপাইগুড়ি শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে শক্তিশালী বিস্ফোরণের আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বাসিন্দাদের। শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণস্থলে পৌছয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি আশেপাশে বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে একপ্রস্থ তদন্ত চালায় সিআইডি। সঙ্গে ছিলেন আইবি-র গোয়েন্দারা। ছিল বম্ব স্কোয়াডও। সেতুর আশপাশে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা সকাল থেকে দফায় দফায় তল্লাসি চালান। শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
কামতাপুরি সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারকে আগেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিল কেএলও। কামতাপুরি সমস্যার সমাধানে নিঃশর্ত ত্রিপাক্ষিক আলোচনা চেয়ে দু হাজার এগারোর আঠারোই নভেম্বর রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দেয় কেএলও নেতৃত্ব। সেই চিঠিতেই কামতাপুরি সমস্যার শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য সমাধানের দাবি করেছিল কেএলও সেন্ট্রাল কমিটি। কেএলও বন্দিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছিল ঠিকই কিন্তু মুক্তিপ্রাপ্তদের বিশেষ আমল দেয়নি সরকার। কেএলওর আবেদনের ভিত্তিতে কোনও বৈঠকও আর হয়ে ওঠেনি। সেই আবেদনকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। অন্তত জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণ, মালদায় বাসে গুলি চলার পর রাজ্যকেই দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ।
First Published: Sunday, December 29, 2013, 18:29