Last Updated: December 8, 2012 14:25

কেটে গেছে গোটা একটা বছর। অভিশপ্ত সেই দিন আজও কুরে কুরে খায় ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে মৃত ৯৩ জনের পরিবারকে। অভিমানে, শোকে কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তাঁদের অনেকেই। কেউ চাইছেন কর্তৃপক্ষের শাস্তি। কেউবা কর্তৃপক্ষের দেওয়া ক্ষতিপূরণের চেক ফিরিয়ে দিয়েছেন হেলায়। কেমন আছেন তাঁরা? ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
রামমোহন মিশন স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন বছর ৩৩এর পরমা চক্রবর্তী। স্বামী সুদীপ পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। আট বছরের ছেলে স্বর্নাভ এমপি বিরলা স্কুলের ক্লাস ফোরের মেধাবী ছাত্র। বিজয়গড়ে নতুন ফ্ল্যাট, গাড়ি। সবমিলিয়ে সুখের সংসার। ২০০১-র ৮ ডিসেম্বর। ব্যাকটিরিয়াল মেনিনজাইটিসের সঙ্গে সাইনোসাইটিসের কবলে পড়েন পরমা। ঘাড়ে-মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা। ভর্তি করা হল ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে। রাতেই অভিশপ্ত অগ্নিকান্ড। সবশেষ। মৃত ৯৩ জনের দলে নাম লিখিয়ে সবকিছু ছেড়ে চিরবিদায় পরমার।
দিদি এসে হাল ধরেছে সংসারের। দিশেহারা সুদীপবাবু কাজের সুত্রে বেশিরভাগ সময়ে বাইরেই থাকেন। একদম একা হয়ে গেছে ৮ বছরের নিস্পাপ স্বর্নাভ। অনেকটা একই অবস্থা ১১ বছরের শিবামৃতার। সে সাউথ পয়েন্টের ক্লাস সিক্সের ছাত্রী। মা মুনমুন চলে গেছেন এক বছর আগে। ২রা ডিসেম্বর রাসবিহারি মোড়ে অটো দুর্ঘটনা হয়। পায়ে মারাত্মক আঘাত পান মুনমুন। ভর্তি করা হয় আমরিতে। প্রায় সেরেই গিয়েছিলেন তিনি। ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল শনিবার দুপুরে। তার আগেই অভিশপ্ত শুক্রবারের রাত কেড়ে নিল তাকে।
First Published: Sunday, December 9, 2012, 10:27