Last Updated: October 23, 2013 08:31

সচিন তেন্ডুলকরের ২০০তম টেস্ট ঘিরে দেশজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। জল্পনা চলছে বিদায়ী ম্যাচে তাঁর শতরানের সম্ভাবনা নিয়েও। আর এসবের মধ্যেই সবাইকে কাঁদিয়ে সেঞ্চুরি করে ফেলল আরও একজন। সে হল পেঁয়াজ। লাগাতার ঝোড়ো ইনিংস চলছিলই। সব ছাপিয়ে মঙ্গলবার একশো ছুঁলো এক কেজি পেঁয়াজ।
৬০, ৭০, ৮০, ৯০- প্রতি সপ্তাহেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল দাম। এবার সেঞ্চুরিটাও হয়ে গেল। শ্রীনগর, ভোপাল ও পাটনায় এক কেজি পেঁয়াজের দাম এখন ১০০ টাকা। খোদ রাজধানীতেও পেঁয়াজের দর দাঁড়িয়ে রয়েছে সেঞ্চুরির মুখে। দিল্লিতে আশি থেকে নব্বইয়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে পেঁয়াজ। দেশের বাকি অংশে কোথাও সত্তর, কোথাও আশি। এর মধ্যেই রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
রাস্তার ধারে ঘুগনির দোকান হোক কি নামী রেস্তোরাঁ, স্যালাড থেকে পেঁয়াজ উধাও হয়েছে অনেক দিনই। তার জায়গায় এসেছে মুলো। কোথাও আবার শুধুই লঙ্কা। কিন্তু মঙ্গলবার পেঁয়াজের দর একশো ছুঁয়ে ফেলার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি তবে হেঁশেল থেকেও পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেওয়ার পথে হাঁটছে পেঁয়াজ?
এমন জ্বলন্ত ইস্যু কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নন রাজনীতিকরা। পেঁয়াজের দামের রকেট গতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। ডিসেম্বরে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই পেঁয়াজের দাম চিন্তায় রেখেছে ইউপিএ সরকারকেও। পেঁয়াজের দাম নাগালে আনার জন্য কেন্দ্রের তরফে রফতানি বন্ধের ইঙ্গিত মিলেছে। প্রয়োজনে পাকিস্তান ও চিন থেকে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামের জন্য অসময়ের বৃষ্টিকেই দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। সেই সঙ্গে কালোবাজারিকেও দায়ী করেছেন তিনি। আনন্দ শর্মার দাবি, সরকারের ভাণ্ডারে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। কিন্তু ফড়েদের দাপটে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। তাই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের কালোবাজারি বন্ধের জন্য রাজ্য সরকারকে তত্পর হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সারা দেশে পেঁয়াজ যেখানে আগুন, সেখানে ব্যতিক্রম শুধু পঞ্জাব ও চণ্ডিগড়। এই দুই জায়গায় এক কেজি পেঁয়াজের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। কারণ এখানকার ব্যবসায়ীরা আট্টারি-ওয়াঘা বাণিজ্যপথ দিয়ে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। কিন্তু তা হলে কী হবে? বাকি দেশে তো পেঁয়াজ কিনতে যাওয়া মানেই হাতে ছ্যাঁকা। বাজারে গেলেই কানে আসবে কৌতুক। যেখানে পেঁয়াজের দর শুনে ক্রেতা বলছেন, এত টাকা দিয়ে পেঁয়াজ নয়। আপেল খাওয়াই ভাল। কারণ দরের ভারে দুজনেই এখন সমান। তবু আশ্বাস দিচ্ছে কেন্দ্র। বলছে দিন কয়েকের মধ্যেই একটু হলেও ভাল হবে পরিস্থিতি। কিছুটা নাগালে আসবে পেঁয়াজ।
First Published: Wednesday, October 23, 2013, 08:31