Last Updated: March 25, 2012 20:55

পণবন্দি সমস্যার সমাধানে মাওবাদীদের সামনে আপাতত নরম হল ওড়িশা সরকার। রবিবার পণবন্দি এক ইতালিয় নাগরিককে মুক্তি দিয়ে এর মধ্যেই সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে মাওবাদীরা। শনিবার কোরাপুটের বিধায়ক অপরহণের পর আলোচনা থেকে সরে এসেছিলেন দুই মধ্যস্থতাকারী দণ্ডপাণি মহান্তি ও বিডি শর্মা। আজ চাপে পড়ে মাওবাদীদের প্রস্তাবিত ওই দুই মধ্যস্থতাকারীকেই ফের আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন মুক্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
ওড়িশায় অপহৃত দুই ইতালীয় নাগরিকের মধ্যে ক্লদিও কোলানজেলোকে মুক্তি দিল মাওবাদীরা। গত ১৪ মার্চ কন্ধমাল থেকে অপহৃত হয়েছিলেন দুই ইতালীয় নাগরিক। রবিবার কন্ধমাল ও গঞ্জাম জেলার সীমানায় ব্রাহ্মণি গ্রামে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্লদিওকে।
শনিবার লক্ষ্মীপুরের আদিবাসী বিধায়ক ঝিনা হিকাকার অপহরণের পর আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মাওবাদীদের পক্ষের দুই মধ্যস্থতাকারী বিডি শর্মা ও দণ্ডপাণি মহান্তি। তাঁদের অবিযোগ ছিল সরকার ও মাওবাদী দুপক্ষই হিংসার রাজনীতি করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উপর চাপ বহুগুণ বাড়িয়ে রবিবারই এক পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মাওবাদীরা। তারা যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাতে আগ্রহী সেই বার্তা দিতেই এই মুক্তির সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে মাওবাদীদের প্রস্তাবিত দুই মধ্যস্থতাকারীদেরই ফের আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে।
মাওবাদীরা ক্লদিওকে মুক্তি দেওয়ার পর এবার সরকারকে তাদের ভূমিকা স্পষ্ট করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন দুই মধ্যস্থতাকারী।
শুভশ্রী পাণ্ডা সহ বন্দি পাঁচ মাওবাদী নেতা নেত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোষী পুলিস অফিসারদের শাস্তি না দিলে অন্য পণবন্দিকে যে ছাড়া হবে না তা রবিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছে মাওবাদীরা। ফলে এরপর পণবন্দিদের মুক্তির দায়ও কৌশলে রাজ্য সরকারের উপরেই চাপিয়েছে মাওবাদীরা।
First Published: Sunday, March 25, 2012, 20:55