Last Updated: June 25, 2012 13:07

২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও এক পাক জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস। ধৃতের নাম আবু হামজা। সে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে দাবি পুলিসের। পাশাপাশি ২০০৬ সালের পর থেকে লস্কর-ই-তৈবারও সদস্য হয় এই আবু হামজা। দুবাই থেকে ফেরার পথে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাকিস্তান পাসপোর্ট-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। পুলিসের দাবি, মুম্বই নাশকতায় সরাসরি জড়িত আবু হামজা।
জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিস জানতে পেরেছ, হামলার খোঁজখবর নেওয়া থেকে রেকি, তার মাধ্যমেই সব করা হয়েছিল। ২৬/১১ কাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড, লস্কর কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লাকভির সঙ্গে আবু হামজার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল আবু হামজা ওরফে সৈয়দ জবিউদ্দিন ওরফে জবি আনসারি ওরফে রিয়াসত আলি। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর তরফে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রককে জমা দেওয়া যাবতীয় নথিপত্রেও তার নাম রয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সাহায্যে ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ- সহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ঘুরে নাশকতার নেটওয়ার্ক তৈরির দায়িত্ব ছিল তার উপর।

জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ, গুজরাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ-সহ আরও কয়েকটি হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল আবু হামজা। পুলিসের অনুমান আবু হামজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই নাশকতার তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এদিন আবু হামজাকে ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। পুলিসের অনুমান, আবু হামজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই নাশকতার তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ২৬/১১-র আগে আজমল আমির কাসভ, তাঁর সঙ্গী ৯ জন জঙ্গিকে হিন্দির প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এই জবিউদ্দিন। হামলা চালকালীন লস্কর-ই-তৈবার কন্ট্রোল রুম থেকে তাজ প্যালেস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, নরিম্যান পয়েন্টে হামলাকারী লস্কর বাহিনীকে নাশকতার নির্দেশ দিয়েছিল আবু হামজা।
First Published: Monday, June 25, 2012, 13:07