Last Updated: July 6, 2013 09:23

আইনি জটে রাজ্যের অর্ধেক ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেই থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের বিধি অনুযায়ী বুথপিছু চারজনের কম জওয়ান রাখা যাবে না। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ, বুথপিছু সর্বোচ্চ দুজন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। রাজ্যে ২৭ হাজার ৪৭৩ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে রয়েছে একটি করে বুথ। এইসব বুথে তাই রাজ্য পুলিস দিয়েই নির্বাচন করাতে হবে কমিশনকে।রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কমিশনের দাবি ছিল আটশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সে প্রস্তাব খারিজ হলেও সুপ্রিমকোর্টে কমিশনকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়।
কিন্তু সমস্যা কোথায়...
কেন্দ্রীয় বাহিনী নীতি এবং হাইকোর্টের নির্দেশের মধ্যেই তৈরি হয়েছে জট।
কমিশনসূত্রে খবর রাজ্যে সাতাশ হাজার চারশো তিয়াত্তর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে একটি করে বুথ রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নীতি অনুযায়ী কমপক্ষে বুথপিছু চারজন রক্ষী দিতেই হবে। অথচ হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছে, অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে দুজন সশস্ত্র, দুজন লাঠি ধারি পুলিস থাকবে। অর্থাত্, যে সব কেন্দ্রে একটি মাত্র বুথ, সেখানে চারজন আধাসেনা দেওয়ার উপায় নেই। আর এই জটে পড়েই অতি স্পর্শকাতর বেশ কিছু বুথেও আধাসেনা রাখা যাচ্ছে না। রাখতে হচ্ছে সশস্ত্র পুলিস।
তবে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যের জেলা পুলিস সুপার ও জেলা শাসকদের আধিপত্য যাতে না থাকে তার দিকে কড়া নজর রেখেছে কমিশন। এই প্রথম এই দুই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে পর্যবেক্ষকরা পুলিস মোতায়েন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন।
প্রথম থেকেই কমিশনের দাবি ছিল ভোট হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। কিন্তু একদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীতি অন্যদিকে আদালতের নির্দেশের মাঝে পড়ে রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে রাজ্য পুলিস দিয়েই ভোট করাতে হচ্ছে কমিশনকে।
ক্যামেরায় পার্থ পালের সঙ্গে
First Published: Saturday, July 6, 2013, 09:23