Last Updated: February 17, 2012 20:52

ঘটনার প্রায় ১২ দিন বাদেও পুলিস পার্কস্ট্রিটের ঘটনার কোনও কিনারা করতে পারেনি। কে সত্যি বলছেন, কে মিথ্যা বলছেন তা নিয়েই ধন্দে পুলিস। আর তার মাঝেই একের পর এক গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে পুলিসের তরফে। যদিও নগরপাল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনার কথা। পার্কস্ট্রিটের ঘটনায় মহিলার অভিযোগকে মিথ্যা বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস কমিশনারও বলেছেন, মহিলার কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সেদিন কিছু একটা ঘটেছে। আর সেই ঘটনা জানার জন্য পুলিস যে চেষ্টা শুরু করেছে তাতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। সেই কারণেই ঘটনার এতদিন বাদেও গোয়েন্দারা ধন্দে। যে মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে জানা যেত ওই মহিলা যা বলছেন তা সত্যি না মিথ্যা, তা জানাই যাচ্ছে না। আর তার জন্য দায়ী পুলিসই। কারণ ঘটনার প্রায় আটদিন বাদে মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। যাতে স্বাভাবিক কারণেই অনেক প্রমান মুছে গেছে।
সম্ভাবনা ১: গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অভিযোগকারীর বয়ান হিসাবে জানানো অভিযুক্তদের নামে। কিন্তু একজন অন্য নাম নিয়ে পরিচয় করতেই পারে। অপরাধের প্রবণতা রয়েছে এমন লোকের পক্ষে সেটাই স্বাভাবিক।
সম্ভাবনা ২: অভিযোগকারী দুজনকে শণাক্ত করেছে। তাঁদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের তথ্য ঘটনার সঙ্গে মিলছে না। এক্ষেত্রে মহিলার কথায় যদি অসঙ্গতি থেকে থাকে, অর্থাত্ নৈশক্লাব থেকে তাঁকে তোলা হয়নি। তাহলে টাওয়ার লোকেশন অনুসারে সেই জায়গা থেকেই মহিলাকে তোলা হতে পারে।
সম্ভাবনা ৩: মহিলার অভিযোগ, ঘটনার দিনই তিনি অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের দৌলতে তাঁদের আগে থেকেই পরিচয় তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে নাম ভাঁড়ানোর সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। কারণ এই সাইটে ভুয়ো প্রোফাইলের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ।
সম্ভাবনা ৪: পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। আর সেই শত্রুতার কারণেই আক্রান্ত হয়ে মহিলাও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
সম্ভাবনার এই পথ ধরেই তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
First Published: Friday, February 17, 2012, 21:13