Last Updated: December 12, 2012 12:32

গুজরাতে নির্বাচন মানেই প্যাটেল সমাজের ভোট বিজেপির বাক্সে। ১৯৯৫ থেকে চলে আসা এই একই চিত্রনাট্যে এবার কিছুটা বদল হলেও হতে পারে। একাধিক কারণে মোদির ওপর ক্ষুব্ধ প্যাটেল সমাজের একটা বড় অংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষোভের বড়সড় গুনাগার দিতে হতে পারে মোদিকে।
গুজরাত থেকে রজতশুভ্র মুখোটির বিশেষ রিপোর্ট। কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী মাধব সোলাঙ্কির ক্ষত্রিয়-হরিজন-আদিবাসী ও মুসলিম ফর্মূলা বা (KHAM) ফর্মূলাকে বানচাল করতে গুজরাতে প্রথম প্যাটেল সমাজকে সামনে আনেন বিজেপির কেশুভাই প্যাটেল। ক্ষত্রিয়-হরিজন-আদিবাসী ও মুসলিমদের নিয়ে গড়া কংগ্রেসি ভোটব্যাঙ্ককে অনায়াসেই পিছনে ফেলে দেয় প্যাটেলদের সম্মিলিত শক্তি। গুজরাতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশ প্যাটেলরা। রাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রভাব রয়েছে প্যাটেলদের। কমপক্ষে ৩০টি আসনে কিংমেকার প্যাটেল সমাজ। ১৯৯৫ থেকে এই সমাজ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। তবে এবার পরিস্থিতি বদলেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় বিজেপিকে সমর্থন করে আসা প্যাটেল সমাজের একটা বড় অংশের অভিযোগ, মোদির শাসনে তারা বঞ্চিত।
ফলস্বরূপ মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্যাটেল সমাজের একাধিক নেতা। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম নরেশ প্যাটেল। এছাড়াও রয়েছে কেশুভাই ফ্যাক্টর।
প্যাটেল সমাজের ক্ষোভ চিন্তায় রেখেছে মোদিকেও। তাই কিছুটা নিজের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়েই তিনি এবার ৮৫ শতাংশ আসনে পুরনো প্রার্থীকেই রেখে দিয়েছেন। যার মধ্যে ১৪ জন ল্যুভা প্যাটেল প্রার্থী।
যদিও মোদি শিবির সেকথা স্বীকার করতে রাজি নয়। মোদির বিরুদ্ধে বিভাজনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে প্যাটেল সমাজ থেকে।
তেরোই ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ভোট হয়ে যাবে সৌরাষ্ট্রের সাত জেলায়। এই জেলাগুলিতেই প্যাটেল সমাজের সিংহভাগ মানুষের বাস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, প্রথম পর্বেই ছাপা হয়ে যাবে মোদির মার্কশিট।
First Published: Wednesday, December 12, 2012, 13:46