Last Updated: November 18, 2011 23:15

অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে মার্কিন জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থার সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সংসদে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে আলোচনা হবে। আশিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকে এমনই আশ্বাসের সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের গলায়। পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়েই বামেদের তীব্র বিরোধিতার মুখে ইউপিএ সরকার। পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে বামেরা। বিলে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থায় দায়বদ্ধতা নিয়ে উল্লিখিত ধারাগুলির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে বামশিবির। কারণ, ওই ধারা অনুযায়ী, পরমাণু কেন্দ্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কার্যত তার কোনও দায়ই নিতে প্রস্তুত নয় জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। বামেদের চাপে বিলে কিছুটা সংশোধনে বাধ্য হয় ইউপিএ সরকার। ঠিক হয়, ক্ষতিপূরণের ঊর্ধ্বসীমা পাচশো কোটি থেকে বাড়িয়ে দেড়হাজার কোটি টাকা করা হবে। সরবরাহকারী সংস্থাগুলির কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আইনের দ্বারস্থও হতে পারেন অপারেটররা। কিন্তু, এখানেও বিষয়টিকে আরও লঘু করার পথে হাঁটতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা পাঁচবছর পর্যন্ত বাড়াতে চায় মার্কিন জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। এক্ষেত্রে ভারতের কী প্রতিক্রিয়া, আশিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় সেটাই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন বারাক ওবামা। সুর নরম করে প্রধানমন্ত্রীও মার্কিন জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থার উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। বাম শিবিরের যাবতীয় আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। বামেদের অভিয়োগ ছিল, দেশের সার্বভোমত্ব এবং স্বাধীন বিদেশনীতিকে কার্যত বিসর্জন দিয়েই এই চুক্তি সম্পাদনের পথে হেঁটেছে ইউপিএ সরকার। এবার পরমাণু দায়বদ্ধতা বিল নিয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে কার্যত সুর নরম করলেন প্রধানমন্ত্রী।
First Published: Friday, November 18, 2011, 23:18