Last Updated: February 24, 2012 17:22

প্রয়াত কবি জয়দেব বসুর দেহ তুলে দেওয়া হল এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। তাঁর মরদেহ রাখা ছিল বো স্ট্রিটে। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ প্রথমে যায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএম-এর রাজ্য দফতর তথা নন্দন পত্রিকার দফতরে। তাঁর মরদেহে মাল্যদান করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সহ দলের নেতা-নেত্রীরা। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলা আকাদেমি সভাঘরে। প্রয়াত কবিকে মাল্যদান করেন কবি জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার সহ বিশিষ্টজনেরা। এরপর এনআরএস হাসপাতালে তাঁর দেহ দান করা হয়।
বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন কলকাতার মায়াকোভস্কি, কবি জয়দেব বসু। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯। এ দিন শোকজ্ঞাপন করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ-সহ জয়দেবের বহু গুণমুগ্ধ এবং অনুরাগী।
জয়দেবের জন্ম উত্তর কলকাতার দমদমে ১৯৬২ সালের ১২ মে। শৈশবের অনেকখানি উত্তরবঙ্গে কাটিয়ে ছাত্রজীবন শুরু করেন বিশ্বভারতীতে। ১৯৮০-তে বাংলা নিয়ে পড়তে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। বামপন্থার সঙ্গে প্রথম প্রণয় সেখানেই। ১৯৮০-র ডিসেম্বরে এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। সিপিআইএমের সদস্য হন এর কিছুদিন পরে। স্নাতকোত্তর উপাধি পান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কর্মজীবনের শুরু ১৯৮৬-তে, গণশক্তি পত্রিকায়। পরে অধ্যাপনাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পড়াতেন দমদম মতিঝিল কলেজে। যুক্ত ছিলেন `নন্দন` পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গেও।
তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ `ভ্রমণকাহিনি`। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশিত হয় `মেঘদূত`। এ ছাড়াও `জনগণতান্ত্রিক কবিতার ইস্তেহার`, `জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়`, `ভবিষ্যৎ`, `আর এস চতুর্দশপদী`, `সাইকোপ্যাথ` তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবিতা ছাড়া `উত্তরযুগ` ও `লুপ্ত নাসপাতির গন্ধ` নামে তিনি দু`টি উপন্যাসও লিখেছিলেন। পাশাপাশি নিয়মিত গদ্য-প্রবন্ধও লিখে গিয়েছেন। তার সংখ্যাও কম নয়।
কবিতার জন্য তিনি কবি সুকান্ত পুরস্কার ও শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কারে সম্মানিত হন।
First Published: Friday, February 24, 2012, 17:23