Last Updated: January 22, 2014 23:30
এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে খিদিরপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার। তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও মানসিকভাবে এখনও বিপর্যস্ত। তাই পুলিস বিস্তারিতভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। যদিও কয়েকটি বিষয়ে পুলিসের ধন্দ দূর হয়েছে।
রবিবার রাতে কী ঘটেছিল তা জানতে মূল অভিযুক্ত হামিদ ওরফে রাজকে নিয়ে খিদিরপুরের ঘটনাস্থল ও হাওড়া স্টেশন ঘুরে দেখেন গোয়েন্দারা। কীভাবে গোটা ঘটনাটা ঘটেছিল তার পুনর্নিমাণ করা হয়। ঘটনাস্থল অর্থাত্ যে গ্যারাজে ওই ঘটনা ঘটে সেখানে যান ফরেসিক বিশেষজ্ঞরাও। যে লরিতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানার নম্বরের সেই লরিটিও পরীক্ষা করে দেখেন গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই বেশকয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার দিন যে রেস্তোরায় রাজ ওই তরুণীকে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছে, সেখানেও যান গোয়েন্দারা। কথা বলেন রেস্তোরার মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে। ওই রেস্তোরার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গ্যারাজের নিরাপত্তারক্ষীদের। মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস, সিসি টিভির ফুটেজ এবং রাজের বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ধর্ষণ এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিস। তবে কতজন এই ঘটনায় যুক্ত ছিল তা নিশ্চিত হতে ওই তরুণীর সঙ্গে আরও কথা বলা দরকার বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।
First Published: Wednesday, January 22, 2014, 23:30