স্কুলে সহপাঠীর মারে জিভ কেটেছিল ছেলের, থানা বাবা, মাকে পাঠাল তৃণমূল কার্যালয়ে

স্কুলে সহপাঠীর মারে জিভ কেটেছিল ছেলের, থানা বাবা, মাকে পাঠাল তৃণমূল কার্যালয়ে

স্কুলে সহপাঠীর মারে জিভ কেটেছিল ছেলের, থানা বাবা, মাকে পাঠাল তৃণমূল কার্যালয়ে সহপাঠীর মারে জিভ কেটে গিয়েছিল ছেলের। কিন্তু, বাড়িতে কিছুই জানায়নি স্কুল। বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়েছিলেন স্কুলে। কিন্তু, তখনও তাঁদের কোনও কথাই কানে তোলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অগত্যা কসবা থানায় অভিযোগ জানাতে যান অভিভাবকেরা।

আশ্চর্যজনকভাবে কসবা থানা তাঁদের যেতে বলেন স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে। প্রায় দশদিন কেটে গিয়েছে। সুবিচার তো দুর অস্ত, অভিযোগটুকুও জানানোর সুযোগ পাননি অসহায় বাবা-মা। স্কুল থেকে দাদুর হাত ধরে ফিরতে ফিরতেই বলে ফেলেছিল রোহিত। ক্লাসে ওকে মেরেছিল সহপাঠী সানি। জিভ কেটে ঝরঝর করে রক্ত পড়ছিল। তখন ক্লাসে উপস্থিত ক্লাস টিচার।

ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। ভর্তি করা হয় শিশুমঙ্গলে। এখন কিছুটা ভাল আছে ছোট্ট রোহিত। কিন্তু, এই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত কোনও হেলদোল নেই স্কুলের। বাধ্য হয়েই কসবা থানায় অভিযোগ জানাতে যান রোহিতের বাড়ির লোকজন। আর সেখানে গিয়ে আরেক অভিজ্ঞতা। থানার কথা শুনে তৃণমূল কার্যালয়েও যান ওরা। কথা বলেন একশো সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে। পুরপিতার বক্তব্য, থানা কেন একথা বলল জানি না। স্কুলটা সাতষট্টি নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে। আমার ওয়ার্ডে না। তাই আমার কিছুই করার নেই।

শুক্রবার স্কুলে যান রোহিতের বাবা-মা। শুধু একটু কথা বলতে চেয়েছিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। রোহিতকে আর ওই স্কুলে যেতে দেবেন না ওর বাবা-মা। কিন্তু, সুবিচার?

First Published: Friday, March 7, 2014, 21:06


comments powered by Disqus