Last Updated: July 10, 2012 18:51

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার পাল্টা তথ্য পেশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বেড়েছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। প্রদীপবাবুর দাবি, অসত্য তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে তাঁকে পাল্টা তথ্য পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই ইস্যুতে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল শরিক কংগ্রেস।
চিদম্বরমের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, চিদম্বরম ওই তথ্য কোথায় পেলেন তা তাঁকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। এর পাশপাশি মাওবাদী দমনে সাফল্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। এম কে নারায়ণন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তাঁকেও আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দুই শরিকের টানাপোড়েন ক্রমশ বাড়ছে।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে ফের রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ সরকারই। তিনি বলেন, যে রাজ্যে সরকার দুষ্কৃতীদের পাশে দাঁড়ায় সেখানে সাধারণ মানুষ যে আক্রান্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। রানি রাসমণি রোডে ১২ টি ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকে এক বিক্ষোভ সমাবেশে একই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। সূর্যকান্ত মিশ্রের অভিযোগ, রাজ্যের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে তার জন্য আইন অমান্য করতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধু বাম বা কংগ্রেস কর্মীরাই নয়। আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিস কর্মীরাও।
First Published: Tuesday, July 10, 2012, 23:30