Last Updated: November 4, 2013 17:30

আজ দুপুর দুটো আটত্রিশ বাজতেই ইতিহাস গড়ল ভারত। মঙ্গলে পাড়ি দিল মঙ্গলযান। মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাইল ফলক ছুঁয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান জানালেন, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে মঙ্গলকে ঘিরে পাক খেতে শুরু করবে মঙ্গলযান। বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে লালগ্রহের নানা অজানা তথ্য।
মঙ্গলবার, দুপুর দুটো আটত্রিশ। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মঙ্গলে পাড়ি দিল দেশের প্রথম মঙ্গলযান। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল সি টুয়েন্টি ফাইভে লালগ্রহের উদ্দেশে রওনা দিল ইসরোর কৃত্রিম উপগ্রহ।
পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে মঙ্গলযান। তারপর নীলগ্রহের মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটিয়ে রওনা দেবে লালগ্রহের দিকে। ন-মাস ধরে চলবে সেই যাত্রা। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে মঙ্গলকে ঘিরে পাক খেতে শুরু করবে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ।
মঙ্গলের আবহাওয়া কেমন? লালগ্রহের মাটিতে থাকা বিভিন্ন খনিজের উপাদানই বা কী ? মঙ্গল থেকে কেন জলের অস্তিত্ব মুছে গেল ? সেখানে কি আছে মিথেন গ্যাস ? এ সবেরই উত্তর দেবে মঙ্গলযানের পাঁচটি বিশেষ যন্ত্র। একইসঙ্গে, মঙ্গল ও তার দুই উপগ্রহের ছবি তোলার কাজও চলবে।
চিন, জাপানের মঙ্গলযাত্রার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইসরোর মঙ্গল অভিযানের চেয়ে ছ-গুণ বেশি খরচকরে কিউরিওসিটিকে লালগ্রহে পাঠিয়েছিল নাসা। ৪৫০ কোটি টাকার মার্স অরবিটার মিশন সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পর চতুর্থ সংস্থা হিসাবে বিরল কৃতিত্বের নজির গড়বে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তারা বলছে, অন্য কোনও দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়, চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের পর নিজেদের দক্ষতাকে ছাপিয়ে যেতেই এ বার লক্ষ্য মঙ্গল।
First Published: Tuesday, November 5, 2013, 20:02