রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পেল জনমুখী কর্মসূচী

রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পেল জনমুখী কর্মসূচী

রাষ্ট্রপতির ভাষণে গুরুত্ব পেল জনমুখী কর্মসূচীপাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ধাক্কা খাওয়ার পর দেশে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা জোরাল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পকে সামনে এনে বিরোধী পক্ষের আক্রমণ এবং শরিক দলগুলির চাপের মোকাবিলা করতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন রাষ্ট্রপতির বাজেট বক্তৃতাতেও তার প্রতিফলন দেখা গেল। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের গত আড়াই বছরের `সাফল্য`-এর কথা বারে বারেই উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।

বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার প্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা নিয়ে কিছুটা চিন্তার অবকাশ থাকলেও চলতি আর্থিক বছরেই দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৮-৯ শতাংশে নিয়ে যেতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের সূচনা-বক্তৃতায় একথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিল। সেই সঙ্গে সংসদে খাদ্য সুরক্ষা বিল পেশ, নানা গ্রামীণ উন্নয়ন যোজনায় বাড়িত অর্থের সংস্থান, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও কালো টাকা বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের জমানায়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যতিক্রমী গুরুত্ব আরোপের দাবি করে রাষ্ট্রপতি জানান, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য `জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য যোজনা`কে `জাতীয় স্বাস্থ্য যোজনা`য় পরিবর্তীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতে শিশুমৃত্যু এবং প্রসবকালীন মৃত্যুর হার কমেছে, দেশকে পোলিও মুক্ত করার পরিকল্পনাও সাফল্যের দোরগোড়ায়। পাশাপাশি দুর্নীতি রুখতে ই-গভর্নেন্সের উপর নজর দেওয়া, ২০১২-১৩ সালের মধ্যে ৮৫ লক্ষ নাগরিককে শিক্ষিত করা, অধ্যাপকদের জন্য বিশেষ প্রকল্প, দৃষ্টিহীনদের জন্য সরকার বিশেষ শাখার ব্যবস্থা করবে সংসদে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গেই দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের কূটনৈতিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী নিয়েও মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত-পাক সম্পর্কের অমীমাংসিত বিষয়গুলি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।

এদিন সংসদের রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সময় অন্তত দু`বার তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বিরেধীরা। বিতর্কিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র (এনসিটিসি) এবং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-প্রসঙ্গ উল্লেখের সময় সংসদের দর্শক আসন থেকে উড়ে আসে বিরূপ মন্তব্য। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই এনসিটিসি ঘটন করতে চাইছে কেন্দ্র। অন্যদিকে জিটিএ বিল সই সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য "দার্জিলিং পাহাড়ের অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মর্যাদা দিতেই সাক্ষরিত হয়েছে ত্রিপাক্ষিক জিটিএ চুক্তি"।

First Published: Monday, March 12, 2012, 15:20


comments powered by Disqus