Last Updated: December 23, 2012 10:36

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে বিক্ষোভকারীদের রুখতে ইন্ডিয়া গেট ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কাছে সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজপথ, জনপথ, সংসদ মার্গ সহ বিভিন্ন রাস্তায় রয়েছে ব্যারিকেড। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বিজয়চক এলাকায় সংবাদমাধ্যমের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। রাজপথে সাংবাদিকদের হঠাতে জল কামান ব্যবহার করে পুলিস। চলছে আধা সেনার টহল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া গেটের কাছাকাছি ৮টি মেট্রো স্টেশন।
একশো চুয়াল্লিশ ধারার মধ্যেই আজ ইন্ডিয়া গেটে বিক্ষোভে সামিল হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ধর্ষণকারীদের কড়া শাস্তির জন্য আইন পরিবর্তনের দাবি জানান তিনি। গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় আজও বিক্ষোভ চলে। সকালে বিজয়চকে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিস তাঁদের সরিয়ে দেয়। ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী আজ ফের তাঁদের সঙ্গে দেখা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। রাইসিনা হিল ও দশ জনপথের সামনে গতকাল সারারাত যে সব আন্দোলনকারীরা ছিলেন তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। বাসে করে তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ রেল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সংগঠনের সদস্যরা সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের রামলীলা ময়দান ও যন্তর-মন্তরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিস।
দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের ন্যায়বিচার চেয়ে দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে ঘটনার বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করে তদন্তের আশ্বাস দেন। গতকাল সাংবাদিকদের সামনে এই ঘটনার মতো বিরল থেকে বিরলতম যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত অপরাধীদের শাস্তি কঠোরতর করার আর্জি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি সহ সারা দেশেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যাঁরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তাঁদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন এই পরিস্থিতিতে স্থৈর্যের পরিচয় দেওয়ার আবেদন করেন। সারা দেশের পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রক সহ কেন্দ্রীয় সরকারও রবিবার রাতের ঘটনাকে গভীর সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিচার করছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
First Published: Sunday, December 23, 2012, 14:41