Last Updated: February 20, 2014 09:16

রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পথে কেন্দ্র।
এর আগে, নলিনী শ্রীহরন সহ রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সব্যস্ত সাতজনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু সরকার। জয়ললিতার এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র আর তামিলনাড়ুর দ্বন্ধকে উসকে দিল। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই মাস্টারস্ট্রোকটা খেলে দিয়েছেন জয়ললিতা। তিনি এই সিদ্ধান্তে সাড়া দেওয়ার সময় জন্য কেন্দ্রকে তিনদিন সময় দিয়েছেন। এই তিনদিনে কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া জানানো না হলে জয়ললিতা তাঁর ক্ষমতার ব্যবহার করে এই সাতজনকে মুক্তি দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া কোনও রাজ্য সতিই এই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াসা রয়েছে। সূত্রে খবর, রাজীব গান্ধীর ঘাতকদের মুক্তির বিপক্ষে কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে তাদের স্পষ্ট বক্তব্যও রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও চিঠিই তাঁরা পাননি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী তিনব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত বাতিল করে কিছুদিন আগেই আজীবন কারাবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। বাকি সাতজনের মুক্তির বিষয়টি রাজ্যের উপরই ছেড়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
গত ২৩ বছর ধরে দণ্ডিতরা জেলে আছে। এদের মধ্যে অন্যতম অপরাধী মুরুগানের স্ত্রী নলিনী শ্রীহরনকে ক্ষমা করার কথা ঘোষণা করেন রাজীব গান্ধীর স্ত্রী কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী।
যদিও রাজীব পুত্র রাহুল জানিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। কিন্তু তাঁর বাবার হত্যাকারীদের মুক্তির কথায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের সহসভাপতি। ``যদি একজন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীরা এই ভাবে ছাড়া পেয়ে যায়, দেশের সাধারণ মানুষ কী ন্যায় আশা করবেন?`` মন্তব্য সোনিয়া পুত্রের।
সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য তামিলনাড়ুর জয়ললিতা সরকার বিপথগামী, দায়িত্বজ্ঞানহীন এই সিধান্ত নীয়েছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
First Published: Thursday, February 20, 2014, 10:29