অবশেষে মুক্ত রিমশা

অবশেষে মুক্ত রিমশা

অবশেষে মুক্ত রিমশাজামিন পেল রিমশা মাসিহ। শুক্রবার দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা শুনানি চলার পর রিমশার জামিন মঞ্জুর করে পাকিস্তানের এক আদালত। এদিন শুনানি চলাকালীন দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে ব্যাপক তর্কাতর্কি চলে। অভিযোগকারীর আইনজীবী দাবি, রিমশার আইনজীবী ঘটনার মূল তথ্য সংক্রান্ত নথি আদালতে পেশ করেননি। যদিও, তদন্তকরী পুলিস অফিসার দাবি করেছেন অভিযুক্ত ইমাম খলিদ জাদুনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করেছেন তাঁরা। পয়লা সেপ্টেম্বর ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে কারাবন্দী রিমশা মাসিহর জামিনের আবেদন জানান রিমশার মা।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদের মহিরা জাফর মসজিদের ইমাম খলিদ জাদুনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ইমামকে রিমশার ব্যাগে কোরানের ছেঁড়া পাতা ঢোকাতে দেখেছিলেন বলে ওই ব্যক্তি পুলিসকে জানান। গত ১৬ অগাস্ট ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত ১১ বছরের রিমশাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তারপর থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলেই ছিল রিমশা। এদিন জেল থেকে ছাড়া পেলেও রিমশা বা তার পরিবারের পক্ষে পুরোনো ভিটেয় কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অতীতে বারবারেই দেখা গেছে, পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতা রোধ আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনের হাত থেকে রেহাই পেলেও কট্টরপন্থীদের হাতে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে তাদের। রিমশার ক্ষেত্রে পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের উপদেষ্টা এবং শাহবাজ ভাট্টির ভাই পল ভাট্টি যদিও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দিয়েছেন। রিমশার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিও।

পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতা আইনে নির্মম পরিণতির ইদানীং কালের অন্যতম উদাহরণ আসিয়া বিবি। আদালতে ধর্মদ্রোহিতার অপরাধে প্রাণদণ্ডের সাজা হয় আসিয়া বিবির। আদালতের এই রায় নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পঞ্জাবের গভর্নর সলমন তাশির। ধর্মদ্রোহিতা আইনের সংশোধন উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর তারপরেই নিজের দেহরক্ষীর হাতে প্রাণ দিতে হয় সলমন তাশিরকে। এর কিছুদিন পরেই একই কারণে প্রাণ যায় পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিরও।






First Published: Friday, September 7, 2012, 19:26


comments powered by Disqus