Last Updated: February 27, 2012 20:01

শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শৈলেন মান্নার। সোমবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমাতে শুরু করেছিল তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্ত। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ভারতীয় ফুটবলের আর এক কিংবদন্তী পি কে ব্যানার্জি। সকাল ৯ টা নাগাদ সল্টলেকে তাঁর বাসভবনের দিকে রওনা দেয় শৈলেন মান্নার শবদেহবাহী গাড়ি। বাড়ির বাইরে তখন মান্নাদার অসংখ্য গুণমুগ্ধের ভিড়। প্রায় ৩ ঘণ্টা সেখানে শায়িত ছিল শৈলেন মান্নার নিথর দেহ। সল্টলেকের বাড়ি থেকে শৈলেন মান্নার শববাহী গাড়ি রওনা দেয় হাওড়ায় তার মামারবাড়িতে। এরপর শেষযাত্রা পৌঁছয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে সরকারি তদারকিতে প্রায় ৪ ঘণ্টা শায়িত ছিল শৈলেন মান্নার দেহ। তবে পরিবারের আপত্তিতে মোহনবাগান ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়নি কিংবদন্তি এই ফুটবলারের দেহ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সবার প্রিয় মান্নাদার শেষসময়ে পাশে থাকেনি মোহনবাগান ক্লাব কর্তারা। তবে বিতর্কের উর্দ্ধে থেকে শৈলেন মান্নার শেষযাত্রায় হাজির ছিলেন মোহনবাগানের শীর্ষ কর্তারা। রবীন্দ্রসদনেই ক্লাবের পক্ষ থেকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয় সবার প্রিয় মান্নাদাকে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান বাইচুং ভুটিয়া, গুরবক্স সিংরা। শেষ পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এসে রদ্ধা জানান শৈলেন মান্নাকে। প্রিয় সবুজ-মেরুন পতাকা গায়ে দিয়ে রবীন্দ্র সদন ছাড়ে শৈলেন মান্নার নিথর দেহ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ময়দানের প্রিয় মান্নাদার।
শৈলেন মান্নার শেষযাত্রা ময়দানের ক্লাব তাঁবু ছুঁয়ে না যাওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক হিসাবে দেখছেন মোহনবাগানের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। একই মত আরও দুই কট্টর মোহনবাগানি সুব্রত ভট্টাচার্য এবং সত্যজিত চ্যাটার্জির।
First Published: Tuesday, February 28, 2012, 12:05