Last Updated: January 24, 2014 20:50

আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে চ্যানেলের নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারলেও সারদার হয়ে টাকা আদায়ের কাজ শুরু করে দিল শ্যামল সেন কমিশন। সারদার চারটি চ্যানেলের নিলাম প্রক্রিয়া পিছনোর জন্য সরাসরি বিধাননগরের পুলিসের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমিশন। কারণ বিধাননগর পুলিস অসম্পূর্ণ রিপোর্ট দিয়েছে। কমিশনের নির্দেশ থাকলেও হাজির হননি ডিরেক্টররাও। ফলে সরকারের তরফে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সারদার মালিকানাধীন চারটি চ্যানেল নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় শ্যামল সেন কমিশন। শুক্রবার তার শুনানি ছিল। কিন্তু নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও হাজির ছিলেন না ওই চারটি চ্যানেলের ডিরেক্টর। তার ওপর এখনও পর্যন্ত ওই চ্যানেলের লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট কমিশনে দিয়ে উঠতে পারেনি বিধাননগর পুলিস। অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়ায় বিধাননগর পুলিসের ভূমিকায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিচারপতি শ্যামল সেন। তিরিশে জানুয়ারি নিলাম সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী শুনানির আগে বিধাননগর পুলিসকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
নিলাম প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেলেও সারদার হয়ে টাকা আদায়ের কাজ শুরু করেছে কমিশন। সারদা গার্ডেনের নটি বাংলো এবং সাতটি ফ্ল্যাটের বকেয়া পাওনা ছিল চুয়াল্লিস লক্ষ অষ্টআশি হাজার দুশো পনের টাকা। সেই টাকা শুক্রবার জমা পড়েছে কমিশনে। জেলে বসে সুদীপ্ত সেন সারদার যে পঁয়ষট্টিটি সম্পত্তির তালিকা তৈরি করেছিল, সেই তালিকা শুক্রবার কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
First Published: Friday, January 24, 2014, 20:50