Last Updated: April 21, 2012 15:47

জন্ম থেকেই চিড়িয়াখানার এনক্লোজারই ওদের চেনা গণ্ডি। সময়মতো এসে যায় খাবার। গ্রীষ্ম-বর্ষায় মাথা গোঁজার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গা। তাই উন্মুক্ত প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাঠটাই শেখা হয়নি এই সারস শাবকদের। দায়িত্বটা তাই নিয়ে নিয়েছেন তাইল্যান্ডের কোরাট চিড়িয়াখানার কর্তারা। আপাতত বুরিয়ামের জঙ্গলঘেরা নিরাপদ এলাকায় ছাড়া হবে সারসগুলিকে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে, যাতে কোনওভাবেই চোরাশিকারিদের খপ্পরে না পড়ে পাখিগুলি। সেখানেই হবে ওদের প্রকৃতি-পাঠ। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করার শিক্ষা। মানুষকে শত্রু হিসেবে চিনতে পারার কৌশলও শেখানো হবে ওদের। কারণ সেটাই ওদের আত্মরক্ষার একমাত্র উপায়।
প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে তাইল্যান্ডের প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে এই বিশেষ প্রজাতির সারস। গত কয়েক দশক ধরে শুরু হয়েছে সংরক্ষণ। চিড়িয়াখানাতেই করানো হয়েছে প্রজনন। এবার ধীরে ধীরে এই পাখিগুলিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তাইল্যান্ডের কোরাট চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গতবছরও দশ`টি পাখিকে জঙ্গলে ছেড়েছিল এই চিড়িয়াখানা। এবার আরও একটু বেশি সাহসী হয়ে আরও বেশি সংখ্যক সারসকে প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে দিচ্ছে চিড়িয়াখানা। কিন্তু মানিয়ে কি নিতে পারবে সারসশাবকেরা? পারবে, প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে থাকার কৌশল রপ্ত করতে? এ প্রশ্নের উত্তর জানে শুধু প্রকৃতিই ।
First Published: Saturday, April 21, 2012, 15:47