Last Updated: February 23, 2012 16:20

রামলীলা ময়দানে রামদেবের আন্দোলন মঞ্চে বিশৃঙ্খলার জন্য যোগগুরু ও পুলিস, দু`পক্ষকেই দায়ী করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, সে দিনের বিশৃঙ্খলার জন্য প্রশাসন তার দায় এড়াতে পারে না। রামদেব ও দিল্লি পুলিস, উভয়েই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিএস চৌহান ও স্বতন্ত্র কুমার-এর ডিভিশন জানায়, পুলিস তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং জনগণও আইন ভঙ্গ করেছে। দিল্লি পুলিসের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, দিল্লি পুলিসের নিষেধাজ্ঞার কোনও কারণ ছিল না এবং জরুরি অবস্থায় সঠিক পদক্ষেপ নিতেও ব্যর্থ হয়েছে পুলিস।
গত বছর ৪ জুন মধ্যরাতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে যোগগুরু রামদেবের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের অনশন মঞ্চে জনতা-পুলিস ব্যাপক সংঘর্ষে রাজবালা নামে রামদেবের এক মহিলা সমর্থকের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন বহু মানুষ। অভিযোগ ওঠে, বলপূর্বক অনশন ভাঙতে গিয়ে ধর্না মঞ্চে নির্দোষ সমর্থকদের নির্মম ভাবে মারধর করেছে দিল্লি পুলিস। প্রবল বিশৃঙ্খলায় অনশন মঞ্চ ভেঙে পড়ে। মৃত রাজবালার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের পরিবার পিছু ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়, এই ক্ষতিপূরণের ২৫ শতাংশ রামদেবকে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও রামদেবের ট্রাস্ট থেকে কোনও রকম ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করেছে নিহত রাজবালার পরিবার। তাঁদের দাবি, ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় রামদেবের কোনও দোষ ছিল না। হিংসার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে রামদেবের সমর্থক ও পুলিসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, পুলিস প্রশাসন ও রাজ্য সরকার হিংসা এড়াতে পারত।
যদিও রামদেব অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্ররোচনাতেই সে দিন আক্রমণ করেছিল পুলিস। অপরদিকে পুলিসের দাবি, রামদেব তাঁর সমর্থকদের হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। ওই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
First Published: Thursday, February 23, 2012, 16:20