Last Updated: July 23, 2012 19:30

উচ্চমাধ্যমিকে নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে নম্বর বাড়ানোর ঘটনায় এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না স্কুল শিক্ষা দফতর। শিক্ষা সংসদের সচিব নিজে ওই ঘটনায় তাঁর ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিতও হয়েছে যে অন্যায়ভাবে একটি বিশেষ ছাত্রের নম্বর বাড়ান হয়েছে। সংসদের তরফে দোষীদের শাস্তিরও সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও চুপ করে রয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। দোষীকে শাস্তি দেওয়া তো দূরের কথা এখনও পর্যন্ত তাকে শোকজই করা হয়নি।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী কোনও খাতার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রধানপরীক্ষকের বক্তব্যই শেষ কথা। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এক ছাত্রকে নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উচ্চমাধ্যামিক সংসদের সচিবের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পরীক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা। ২৪ ঘণ্টায় বুধবার এই খবর সম্প্রচারের পরেই নড়চড়ে বসেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা। বৃহস্পতিবার শিক্ষা সংসদে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি, অভিযুক্ত সচিব এবং পরীক্ষা নিয়ামক। সেখানেই গোটা কেলেঙ্কারিতে সচিবের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সচিব নিজেও এবিষয়ে দায় স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর দাবি ছাত্রের মা তাঁর কাছে এসে কাঁদায় তিনি এই কাজ করেছেন। যদিও সংসদের অনেকেই মনে করছেন এই কাজের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। উচ্চমাধ্যমিক সংসদের তরফে রাজ্যসরকারের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু রিপোর্ট পাঠানোর পর তিন দিন কেটে গেলেও এখনও চুপ শিক্ষা দফতর। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে এতবড় কারচুপির ঘটনার পরেও কিভাবে অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আসছেন? এদিকে গোটা ঘটনায়
প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার এস এফ আই আই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে স্মারকলিপি জমা দেয়।
ইতিমধ্যেই সংসদের কর্মচারী সমিতিও গোটা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে। কিন্তু তা সত্বেও শিক্ষা দফতরের এই উদাসীনতার কারণ কি তাই নিয়েই শিক্ষামহলে জল্পনা তুঙ্গে।
First Published: Monday, July 23, 2012, 19:30