Last Updated: February 9, 2012 12:35

মাজদিয়া কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ ছাত্রের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাঞ্চন চক্রবর্তীর বেঞ্চ ধৃত ৩ এসএফআই সমর্থকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে।
গত সোমবার অভিযুক্ত ৩ ছাত্রের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল হাইকোর্টে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৫৩ নম্বর ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা ঠিক নয়। কারণ, মাজদিয়া কলেজ আধা সরকারি কলেজ হওয়ায় তার অধ্যক্ষকে সরকারী কর্মী বলা যায় না। তা ছাড়া কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষের অভিযোগপত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের যে নোট রয়েছে তাতে অন্যান্য ধারাগুলি স্বচ্ছভাবে লেখা থাকলেও ৩৫৩ নম্বর ধারাটি 'ওভাররাইট' করে লেখা হয়েছে বলেও জানান হয় হাইকোর্ট'কে। আজ ফের এই মামলার শুনানি ছিল।
গত ৭ জানুয়ারি মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সরোজেন্দ্রনাথ কর`কে নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। ৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় পুষ্পেন সরকার, প্রণব ঘোষ এবং অভিজিত্ হালদার নামে ৩ এসএফআই সমর্থককে। সেই থেকে কৃষ্ণনগর জেলে রয়েছেন এই ৩ ছাত্র। এর আগে ৩ বার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে জেলা আদালতে। আর পুরো ঘটনার জন্য পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ উঠেছে পুলিস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
মাজদিয়া কাণ্ডের দু`দিন আগে, ৫ জানুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারকে নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। অধ্যক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি তিলক চৌধুরী-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিস। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রত্যেকের নামেই পুলিস জামিনযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনায় সহজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান তাঁরা। কিন্তু মাজদিয়া কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়।
First Published: Thursday, February 9, 2012, 13:33