কীভাবে উদ্ধার কঙ্কাল? পড়ুন সোমবার দিনভর

কীভাবে উদ্ধার কঙ্কাল? পড়ুন সোমবার দিনভর

কীভাবে উদ্ধার কঙ্কাল? পড়ুন সোমবার দিনভর বাঁশদ্রোণীর অস্ত্র কারখানায় উদ্ধার হল কঙ্কাল। সাতঘণ্টা খোঁড়াখুঁড়ির পর একটি ব্যাগের ভিতর উদ্ধার হয়েছে মাথার খুলি ও হাড়গোড়। উদ্ধার হওয়া দেহাংশ দু বছর আগে নিখোঁজ মদন রায়ের বলেই অনুমান এলাকার মানুষের। নিশ্চিত হতে দেহাংশ পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতি। বাঁশদ্রোণীর রেনিয়ার মতো এলাকায় গ্রিল কারখানার আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল জ্ঞানসাগর শর্মার অস্ত্রকারখানা। আড়ালটা সরে গেল রবিবার।

জ্ঞান পালালেও ধরা পড়ে গেল তার দুই সঙ্গী বাবলু যাদব ও পন্ডিতজি। রেবিয়ে এল চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। বাবলুর বয়ান অনুযায়ী দু বছর আগে মদন রায় নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রকারখানার পিছনে পুঁতে রেখেছিল জ্ঞান।সোমবার সকাল থেকে শুরু হল দেহের খোঁজে তল্লাসি।

ঘড়ি- সকাল ১০.৩০

বারুইপুরে এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অরুময় ভট্টাচার্য, সোনারপুরে আইসি,ওসি সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতি শুরু হল খোঁড়াখুঁড়ি।

বেলা ১১টা

আধঘণ্টা খোঁড়াখুঁড়ি পরই উদ্ধার হল জুতো ও প্যান্টের ছেঁড়া টুকড়ো। মাটির নিচেই যে দেহ পোঁতা রয়েছে জোরালো হল সেই অনুমান।

দুপুর ২টো

চারঘণ্টা খোঁড়াখুঁড়ির পরও কিছু না মেলায় নিয়ে আসা হল মাটি কাটার মেশিন।নতুন উদ্যোগে শুরু হল খোঁড়াখুড়ি

বিকেল ৩টে

বাবলু যে জায়গা দেখিয়েছিল সেটা ছাড়াও পুরো এলাকা জুড়ে শুরু হল খোঁড়াখুঁড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই নজরে এল দুটো বস্তা

বিকেল ৩.১০মিনিট

বস্তা খুলতেই বেরিয়ে এল মাথার খুলি হাড়গোড়

দু বছর ধরে নিখোঁজ মদন রায়ের দেহ এভাবে উদ্ধার হওয়ায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষ। পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। যদিও এতদিন মদন রায়ের খোঁজ না মেলার দায় সাধারণ মানুষের ওপরই চাপিয়েছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল মদন রায়ের কিনা নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সন্ধেয় এলাকায় মানুষ আগুন লাগিয়ে দেন জ্ঞান শর্মার বাড়ি ও দোকানে।

First Published: Monday, June 9, 2014, 23:15


comments powered by Disqus