Last Updated: June 14, 2013 10:32

জামাইষষ্ঠীতে জামাইরা ঘেমে নেয়ে এক হাতে আমের ব্যাগ, আর একহাতে দইয়ের হাঁড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবে এমনটাই দেখে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। কিন্তু এবারের জামাইষষ্ঠীটা একটু আলাদা। জামাইরা ভিজে গায়ে এবারের জামাইষষ্ঠীতেও শ্বশুরবাড়ি গেলেন ঠিকই, কিন্তু সেটা ঘামে নয় বৃষ্টিতে ভিজে। তবে বাকি সব এক আছে। এই ফোর জি-র যুগেও বাঙালির জামাইষষ্ঠী চলছে সব নিয়ম মেনেই।
অফিসের কড়া নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জামাইরা পৌঁছে গিয়েছেন শ্বশুরবাড়িতে। আর যারা সেটা চেষ্টা করেও পারলেন না তারা ফেসবুক, এসএমএস, ফোনে শ্বাশুরির কাছ থেকে জামাইফোঁটা নিয়ে নিলেন। কর্পোরেট চাকরির ধকল সামলে মেয়ে-জামাই হয়তো রাতে আসবে এই অপেক্ষায় বসে শ্বাশুরি।জ্যৈষ্ঠ মাসের শাস্ত্রমতে শুল্কষষ্ঠীতে হিন্দুদের জামাইবরণের অনুষ্ঠান হল জামাইষষ্ঠী। তবে বাঙালি এখন জামাইষষ্ঠী পেটপুজোর অঞ্জলি হিসাবে ব্যবহার করে।
জামাইষষ্টীতে ২৪ ঘণ্টা.কম-এর স্পেশাল কভারেজ
তবে এবারের আয়োজনে একটা বড় আফশোস রয়ে গেল শ্বাশুরিদের। জামাইকে স্বাদের ইলিশ পাতে দেওয়া গেল না।একটানা বৃষ্টিতেও গরম জামাইষষ্ঠীর বাজার।চিংড়ি থেকে চিতল, ল্যাংড়া থেকে লিচু মহার্ঘ সবকিছুই।তবে বছরের এই বিশেষ দিনটিতে দাম নিয়ে এতটুকুও ভাবতে নারাজ সকলেই।
সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি শহর জুড়ে।কিন্তু জামাই ষষ্ঠীর বাজার রইল বেশ গরম। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও মহার্ঘ ছিল ইলিশ।তবে ষষ্ঠীর সকালে ইলিশকে টেক্কা দিয়ে কয়েকশো মাইল এগিয়ে গেল চিংড়ি।১৪০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিকোলো চিংড়ি।
তবে শুধু চিংড়ি নয়, মহার্ঘ অন্য মাছও। কাতলা হোক বা চিতল, চড়া দাম সব মাছেরই।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
ইলিশ ১২০০ টাকা প্রতি কেজি
ভেটকি ৫০০ টাকা
চিতল ৭০০ টাকা
পমফ্রেট ৫০০ টাকা
আড় মাছ ৫৫০ টাকা
গলদা চিংড়ি ১৪০০ টাকা
বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা
তবে বাজার করতে এসে অবশ্য দামের কথা ভাবছেন না শ্বশুরমশাইরা।বছরের এই বিশেষ দিনটিতে জামাইদের ভূরিভোজ সারতে পকেট ভারী করেই বাজারে।
একই ছবি ফলের বাজারেরও। কুড়ি টাকার ল্যাংড়া আম এক লাফে চল্লিশে। লিচু সত্তর ছাড়িয়ে আবার দুশোর ঘরে। আপেল একশোসত্তর টাকা প্রতিকেজি। আর আনারস পঞ্চাশ টাকা পিস। সব মিলিয়ে অঝোর বৃষ্টিতেও গরম ষষ্ঠীর বাজার।
নীচে কমেন্ট করুন--
First Published: Friday, June 14, 2013, 13:37