খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষি

খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষি

খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষিবলিউডে এসেছেন মাত্র ৩ বছর। কিন্তু এর মধ্যেই বলিউডের অন্যতম বড় লগ্নির নাম সোনাক্ষি সিনহা। তিন বছরে মুক্তি পেয়েছে ৬টি ছবি। প্রত্যেকটা হিট। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ৪টি। শুটিং করছেন একাদশ ছবির!

ইতিহাস বলছে তিন বছরেই বক্সঅফিসে এভাবে জাঁকিয়ে বসার রেকর্ড নেই কোনও অভিনেত্রীরই। ৩ বছরে শুধু ৬টি হিট ছবিই নয়, সলমন খান, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, সইফ আলি খানের মত নায়কদের বিপরীতে কাজ করে ফেলেছেন সোনাক্ষি। প্রভু দেবা, মিলন লুথারিয়া, তিঘমাংশু ধুলিয়ার মত পরিচালকদের সেরা বাজি এখন তিনিই। প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ২০১০ সালে সলমনের বিপরীতে দাবাং ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সোনাক্ষি। ৩০ কোটির বাজেটে তৈরি অভিনব কাশ্যাপের ছবি বক্সঅফিস থেকে তুলে এনেছিল ২১৫ কোটি। সাফল্যের কৃতিত্ব একা সলমনের নয়, সোনাক্ষির কপালেও জুটেছিল প্রশংসা। সলমন-সোনাক্ষিকে নতুন সম্ভাবনাময় জুটি ভাবতে শুরু করেছেন দর্শকরা। খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষি
গত বছর সোনাক্ষির মুক্তি পাওয়া ৪টি ছবি বক্সঅফিসে ব্যবসা করেছে ৬৭০ কোটি টাকার। সলমনের পর দ্বিতীয় ছবিতেই অক্ষয় কুমারকে পেয়েছিলেন সোনাক্ষি। প্রভু দেবা পরিচালিত রাউডি রাঠোর তৈরি হয়েছিল ৪৫ কোটির বাজেটে। অক্ষয়-সোনাক্ষির রসায়ন বক্সঅফিস থেকে নিয়ে আসে ২০০ কোটি। তৃতীয় ছবি জোকার। আবার অক্ষয়। ছবির বাজেট ছিল ৪০ কোটি। ১০০ কোটির ব্যবসা না হলেও বছরের অন্যতম হিট ছবি জোকার ব্যাবসা করেছিল ৭০ কোটির। যশরাজ ক্যাম্পের শাহরুখের ছবি জব তক জানের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল সোনাক্ষির চতুর্থ ছবি সন অফ সর্দার। বিতর্কও হয়েছিল। সকলেই মনে করেছিল বিগ ব্যানারের প্রতিযোগিতায় মুখ থুবড়ে পড়বে অজয় দেবগনের সন অফ সর্দার। কিন্তু এখানেও কাজ করেছিল সোনাক্ষি ম্যাজিক। ৩০ কোটির ছবির বক্সঅফিসে সঞ্চয় ছিল ১৫০ কোটি। এরপর বহু প্রতিক্ষীত সেই দাবাং টু। মু্ক্তির আগেই যেন লেখা ছিল বছরের সবথেকে বড় হিট এটাই। সলমন-সোনাক্ষির রসায়ন দেখতে মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। ৪৫ কোটির ছবি যে ২৫১ কোটির ব্যবসা করবেই সে তো জানাই ছিল।
খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষি
গত বছরের পর এ বছরে সোনাক্ষিই প্রযোজকদের সেরা বাজি। এই বছর এখনও পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সোনাক্ষির একমাত্র ছবি বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের লুটেরা। বক্সঅফিসে সেভাবে সাফল্য না পেলেও সমালোচকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। সোনাক্ষি প্রমাণ করেছেন শুধু ব্যবসা দিতেই তিনি জানেন না, অভিনয়েও সকলকে পিছনে ফেলে দেবেন। এখন মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই দোবারা, তিঘমাংশু ধুলিয়ার বুলেট রাজা, বিপরীতে সইফ আলি খান, শহিদ কপূরের সঙ্গে প্রভু দেবার র‌্যাম্বো রাজকুমার, অক্ষয়ের সঙ্গে পিস্তল। এখন শুটিং চলছে প্রভু দেবার অ্যাকশন জ্যাকসনের।
খানরা নন, প্রযোজকদের সেরা বাজি এখন রেকর্ডধারী সোনাক্ষি
শুধু অভিনয় নয়, এর মধ্যেই তিনটি ছবিতে আইটেম নম্বরও করে ফেলেছেন তিনি। ওহ মাই গড ছবিতে প্রভু দেবার সঙ্গে গো গো গোবিন্দার ইউটিউব হিট ৪ লাখের ওপর। সাজিদ খানের হিম্মতওয়ালা বক্সঅফিসে কূল না পেলেও সোনাক্ষির আইটেম থ্যাঙ্ক গড ইটস ফ্রাইডে ছিল সুপারহিট। অক্ষয়ের আগামী ছবি বস-এও রয়েছে সোনাক্ষির আইটেম নম্বর। কিন্তু জিরো ফিগারের যুগে ওভারওয়েট সোনাক্ষি কীভাবে মাত করলেন বাজার? আসলে ভারতীয় দর্শক এখনও জিরো ফিগারের লেগি বিউটির থেকে লাজুক মুখের লাস্যময়ী ভরাট সুন্দরীদেরই পছন্দ করেন। তাই দক্ষিণেও সোনাক্ষির ভরা বাজার। বাকিরা দিনের ২৪ ঘণ্টাই জিমে কাটিয়ে দিলেও জনতা জনার্দনের মনপসন্দ সোনাক্ষিই।

First Published: Thursday, September 12, 2013, 20:28


comments powered by Disqus