সমকামিতা অপরাধ, শীর্ষ আদালতের রায়ে গভীর হতাশায় সোনিয়া, চিদম্বরম, কপিল

সমকামিতা অপরাধ- শীর্ষ আদালতের রায়ে গভীর হতাশায় সোনিয়া, চিদম্বরম, কপিল

সমকামিতা অপরাধ। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়। সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজনৈতিক মহল, বুদ্ধিজীবী মহল, বিনোদন জগত। আদলতের রায় শুনে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেন, হাইকোর্ট নিষ্ঠুর, মানবাধিকার বিরোধী একটা আইনের বিরোধিতা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তাতে আমি হতাশ। আমাদের সংবিধানের ঐতিহ্য রয়েছে, আমাদের সংবিধান মুক্ত মনে কথা ভাবার, কথা বলার অধিকার দিয়েছে। তার জোরেই আমরা এই রায়ের বিরোধিতা করছি। আশা করি সংসদে এই বিষয়টা তোলা হবে এবং ভারতের সব নাগরিকদের জন্য স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

সোনিয়ার মতোই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেছেন কপিল সিব্বল, বৃন্দা কারাত, পি চিদম্বরম, ডেরেক ও ব্রায়েন। ২০০৯ সালের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারক জি এস সিংভি এবং এস জে মুখোপাধ্যায় বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অসাংবিধানিক নয়। তাই হাইকোর্টের রায় সমর্থনযোগ্য নয়। দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে সংশোধন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালতের রায়ের সমালোচনা করে পি চিদম্বরম বলেন, মনে হচ্ছে আমরা ১৮৬০ সালে ফিরে গিয়েছি। সরকার শীর্ষ আদালতে রায় খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন জানাবে।

টুইটারে কপিল সিব্বল লেখেন, হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখার জন্য সরকার সবরকম চেষ্টা করবে। প্রাপ্তবয়স্কদের নিজেদের পছন্দ মতো যৌনসঙ্গী খোঁজার অধিকার থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের উচিত আইনের সাংবিধানিকতাকে, বৈধতাকে মাথায় রাখা। সরকারের উচিত শীর্ষ আদালতকে সম্মান করা। আদালত নিজেদের রায় দিয়েছে। আমরা নিজেদের বক্তব্য রাখব।

ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতা দন্ডনীয় অপরাধ। সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের এই রায়কে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। LGBT -রা কী অপরাধী বলেই চিহ্নিত হবেন? প্রশ্নের উত্তরটা খোঁজার দায়িত্ব আপাতত সংসদের। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে ভিন্ন মতামত। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট। তাঁর মন্তব্য, মানবাধিকারের ওপর চাপানো একটা দমনমূলক এবং অন্যায় আইনকে সরিয়ে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের রায়।


First Published: Thursday, December 12, 2013, 17:17


comments powered by Disqus