Last Updated: January 31, 2012 09:45

একশো দিনের কাজে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর যে ব্যর্থ তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। নানা কারণে অন্য রাজ্যের থেকে ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের পারফরমেন্স খারাপ বলে মন্তব্য করেন তিনি। সমস্যা মেটাতে টিসিএসকে দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কাজের চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট যথা সময়ে জমা না দেওয়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া রাস্তা তৈরির টাকাও ফেরত গিয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পঞ্চায়েত দফতরের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সে কারণে আগের পঞ্চায়েতমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে সরিয়েও দেন তিনি। নিয়ে আসেন, পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখার্জিকে। এবার সেই সুব্রত মুখার্জিই পঞ্চায়েত দফতরের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নানা কারণে ব্যর্থতা দেখা দিচ্ছে বলে স্বীকার করেন সুব্রতবাবু। একশো দিনের মধ্যে মাত্র ২৯ দিন কাজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, ঠিক সময়ে মজুরি না পাওয়াতেই ১০০ দিনের কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
সমস্যা মেটাতে টিসিএসকে দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে একশো দিনের কাজ পরিচালনা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
গ্রামাঞ্চলে রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্কের বরাদ্দ টাকাও রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। কেন্দ্রের মাধ্যমে এই টাকা পায় রাজ্য। রাজ্য সরকার সেই টাকা কাজে লাগাতে না পারায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উষ্মা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের টাকা পেতে হলে রাস্তা তৈরির ডিটেল্ড প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর জমা দিতে হয়। গত কয়েক মাসে মাত্র ২৯ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ডিপিআর জমা দিতে পেরেছে পঞ্চায়েত দফতর। সেই অংশের বরাদ্দ টাকা পেযেছে রাজ্য। কিন্তু আরও এক হাজার কিলোমিটার রাস্তার ডিপিআর যথাযথ সময়ে জমা দিতে না পারায় বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুব্রত মুখার্জি।
সুব্রতবাবুর আশ্বাস, আইআইটি- খড়গপুর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসু, মেকন, ইরকন, এই সমস্ত সংস্থাকে দিয়ে ভবিয্যতে ডিপিআর তৈরি করাবে পঞ্চায়েত দফতর।
First Published: Tuesday, January 31, 2012, 09:45