Last Updated: May 24, 2013 22:34

ফের অশান্তির ইঙ্গিত পাহাড়ে। তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ধৃত জিটিএ সদস্যের মুক্তির দাবিতে, পাহাড়ে অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক দিল মোর্চা। জিটিএ এলাকায় রবিবার থেকে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধৃতের মুক্তির দাবিতে আজ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক থানায় গ্রেফতার হন মোর্চা নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ গরুবাথানের তৃণমূল নেতা এম কে সুব্বার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় গরুবাথানে জিটিএর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চন্দ্রা ইয়ানজনকে। কালিম্পং আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন সকাল থেকে চন্দ্রা ইয়ানজনের মুক্তির দাবিতে দার্জিলিং সদর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান মোর্চা সমর্থকরা। এরপর সন্ধেয় দার্জিলিং থানায় গিয়ে গ্রেফতার হন রোশন গিরিসহ মোর্চার শীর্ষনেতারা। এম কে সুব্বার বাড়িতে হামলার ঘটনায় কোনওভাবেই চন্দ্রা ইয়ানজন জড়িত নন, দাবি মোর্চা নেতা রোশন গিরির।
ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার থেকে জিটিএ এলাকায় অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে গোর্খা রঙ্গমঞ্চের অনুষ্ঠানে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংও। কিন্তু জিটিএর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতারির মধ্যে দিয়ে ফের মোর্চার ওপর চাপ বজায় রাখার কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
First Published: Friday, May 24, 2013, 22:34