Last Updated: April 24, 2012 18:52

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল আশুতোষ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রতীক সিকদারের। সোমবার বিকেলে যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন হকার্স মার্কেটের পাশে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে জিআরপি। বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, রাতেই মৃত্যু হয় প্রতীকের। এই ঘটনায় প্রতীকের ৩ জন বন্ধুর বিরুদ্ধে যাদবপুর জিআরপিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।

রবিবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল আশুতোষ কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রতীক সিকদার। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে যায় প্রতীকের পরিবার। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করার পর, রাতে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর রাত একটা নাগাদ বিধ্বস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে প্রতীক। প্রতীকের দাদা শৌভিকের দাবি, রাতে খাওয়া-দাওয়া না করায়, বাড়ির লোকজন তাকে বকাঝকা করে। এরপর কারো সঙ্গে কথা না বলে, ঘুমিয়ে পড়েছিল প্রতীক। পরের দিন অর্থাত্ সোমবার সকাল থেকে তার আচরণ ছিল স্বাভাবিক। ফলে কেউ আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি। সোমবার দুপুরেও কাউকে কিছু না জানিয়ে, বেরিয়ে যায় প্রতীক। সন্ধে ৬ টা নাগাদ প্রতীকের বাবার মোবাইলে যাদবপুর জিআরপি থেকে ফোন পেয়ে, সকলে ছুটে যান বাঙুর হাসপাতালে। তখনই জানা যায়, যাদবপুর স্টেশন সংলগ্ন হকার্স মার্কেটের পাশে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতীককে উদ্ধার করে জিআরপি। মাথায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্রপোচার করা হয়, তবু বাঁচানো যায়নি প্রতীককে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে ২ বন্ধু ও এক বান্ধবীর সঙ্গে যাদবপুর স্টেশনে রেললাইনের ধারে গল্প করতে দেখা গিয়েছিল প্রতীককে। এরপর একটি আওয়াজ শুনে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় লাইনের ধারে পড়ে আছে প্রতীক। তার মানিব্যাগ থেকে বাবার নম্বর পেয়ে প্রতীকের বাড়িতে খবর দেয় জিআরপি। এই ঘটনার পর থেকে প্রতীকের ওই ৩ বন্ধু নিখোঁজ। ওই তিন বন্ধুর ব্যাপারেই আপাতত খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিস।
First Published: Tuesday, April 24, 2012, 19:18