Last Updated: July 9, 2014 22:47

পাঁচ হাজার টাকা দিলে ভর্তি করে দেওয়া হবে অনার্স কোর্সে। কিন্তু টাকা দিতে হবে আজই এবং একসঙ্গে। ইউনিয়ন নেতাদের এই শর্তে রাজি হননি তিনি। সেজন্য তাঁকে কলেজের ইউনিয়ন রুমে আটকে রাখা হয় রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। এমনকী, দেওয়া হয়অশালীন প্রস্তাবও। শ্যামাপ্রসাদ কলেজের টিএমসিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন ওই কলেজের এক ছাত্রী। তবে টিএমসিপি সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার দাবি, অভিযুক্তেরা কেউই টিএমসিপির নয়।
মঙ্গলবার শ্যামাপ্রসাদ কলেজে বি এ জেনারেল কোর্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা এই ছাত্রী। পাঁচ নম্বর কম থাকায় অনার্স পাননি তিনি। এরপর অনার্সে ভর্তির জন্য কলেজের টিএমসিপি সমর্থকদের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে অনার্স কোর্সে ভর্তি করানোর প্রতিশ্রুতি দেন কলেজেরই কয়েকজন টিএমসিপি সমর্থক। তাঁর অভিযোগ, একসঙ্গে ওইদিনই পাঁচ হাজার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় টিএমসিপি সমর্থকেরা। কিন্তু তিনি কয়েক দফায় ওই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপরেই শুরু হয় দুর্ভোগ।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে ইউনিয়ন রুমে আটকে রাখা হয় রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। দেওয়া হয় অশালীন প্রস্তাবও । এঘটনায় ওই কলেজের টিএমসিপি সদস্য সন্তোষ মিশ্র, রাহুল রায় এবং মিঠুন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্ররা টিএমসিপির সদস্য নয়, দাবি টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার। রাতেই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী।
First Published: Wednesday, July 9, 2014, 22:47