Last Updated: December 15, 2013 21:54
সুবাস ঘিসিং দার্জিলিঙে আসতেই পারেন। কিন্তু রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে তাঁকে। জানিয়ে দিলেন বিমল গুরুং। গুরুং জানিয়েছেন দার্জিলিংকে ষষ্ঠ তফশিলের মর্যাদা দিয়ে আনা বিলের আর কোনও বাস্তবতা নেই। তার সঙ্গেই জিএনএলএফের রাজনৈতিক কর্মসূচিরও মৃত্যু হয়েছে। তাই ঘিসিং এখন পাহাড়ে এলে মোর্চা বাধা দেবে না।
দার্জিলিংকে ষষ্ঠ তফসিলের মর্যাদা দিয়ে আনা বিলটি এখন কী অবস্থায় রয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন পাহাড়ের এক বাসিন্দা। জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, সেই বিলের আর কোনও বাস্তবতা নেই। রবিবার সেই ঘটনার উল্লেখ করে বিমল গুরুং বলেন, ষষ্ঠ তফসিল বিলটির আর কোনও বাস্তবতা নেই। তাই জিএনএলএফের রাজনৈতিক কর্মসূচিরও মৃত্যু হয়েছে। সুবাস ঘিসিং এখন পাহাড়ে আসতেই পারেন। তবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।
বিমল গুরুংয়ের দাবি মানবিকতার খাতিরেই সুবাস ঘিসিংকে পাহাড়ে আসতে দিচ্ছেন তিনি। বলেছেন, সুবাস ঘিসিং রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। আর আমায় দেখে শিখুন কীভাবে পাহাড়ে উন্নয়ন করতে হয়। সুবাস ঘিসিংসের শরীরও ইদানীং ভাল যাচ্ছে না। তাই মানবিকতার খাতিরেই আমি তাঁকে পাহাড়ে আসতে বাধা দিচ্ছি না।
একইসঙ্গে জিটিএ বিতর্ক ফের একবার উস্কে দিয়েছেন মোর্চা প্রধান। বিমল গুরুংয়ের মতে, গোর্খাল্যান্ডের যে চূড়ান্ত লক্ষ্য তাঁদের রয়েছে, সেখানে একমাত্র জিটিএর মাধ্যমেই পৌছন সম্ভব। এর মাধ্যমে কি ঘুরিয়ে জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ পদে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বিমল গুরুং? শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশেষ ডিসেম্বর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে সুকৌশলে জিটিএ-র প্রসঙ্গ তুললেন মোর্চা সভাপতি। রবিবারই দিল্লিতে শেষ হয়েছে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার তিনদিনের ধরনা কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত মোর্চার নেতাদের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর।
First Published: Sunday, December 15, 2013, 21:54