Last Updated: November 18, 2013 17:37

খুন নয়, সল্টলেকে মা-ছেলের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ক্রমেই জোরদার হচ্ছে আত্মহত্যার তত্ত্ব। পরিকল্পনা করেই মাকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সেক্টর ফাইভে মাছের ভেড়িতে গিয়েছিলেন সৌম্য ভট্টাচার্য। এজন্য আগে থেকে জায়গাটি রেকি করে যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা বলে মনে করছে মৃতের পরিবারও। সেক্টর ফাইভে মাছের ভেড়িতে মা-ছেলের জোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল রবিবার রাতে। এটি পূর্ব-পরিকল্পিত আত্মহত্যার ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তের পর এটাই মত পুলিসের। মৃতের পরিবারের বক্তব্যও একই দিকে ইঙ্গিত করছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সৌম্য ভট্টাচার্যের কথাবার্তায় এমন কিছুর ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন বাড়ির লোকেরা। চাকরি ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে নানা অশান্তির জেরে কয়েক বছর ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। মা তন্দ্রা ভট্টাচার্যও মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। দুজনের চিকিত্সাও চলছিল।
রীতিমতো ছক কষেই শনিবার দুপুরে সৌম্য ভট্টাচার্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পুলিসের অনুমান, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আত্মহত্যার জন্য জায়গা খুঁজে বের করা। ওইদিন দুপুর তিনটে থেকে রাত প্রায় সাড়ে আটটা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন না তিনি।
আত্মহত্যার পরিকল্পনায় মাকে সঙ্গী করেই রবিবার দুজন একসঙ্গে সেক্টর ফাইভে ওই মাছের ভেড়িতে পৌঁছন। জায়গাটি নির্জন বলে তা বেছে নিয়েছিলেন সৌম্য। সেখানে পৌঁছে জুতোর ফিতে দিয়ে মার সঙ্গে নিজের হাত ও পা বেঁধে নেন তিনি। ল্যাপটপ রাখার ব্যাগে ভরে নিয়েছিলেন ভারী ইট-পাথর। পুলিসের অনুমান, সেই ব্যাগ পিঠে নিয়েই এরপর জলে ঝাঁপ দেন দুজনে।
কয়েকমাস আগে সৌম্য ভট্টাচার্যের দিদি শর্মিষ্ঠাও আত্মহত্যা করেছিলেন। এবার মা-ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।
First Published: Monday, November 18, 2013, 17:37