Last Updated: May 3, 2012 13:26

সুরাট বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ হানিফ ওমরজি প্যাটেল ওরফে টাইগার হানিফকে ভারতে প্রত্যর্পণে সবুজ সঙ্কেত দিল লন্ডনের আদালত। ১৯৯৩-এ সুরাটে একটি স্কুলে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রীর। আহত হন প্রায় ৩৮ জন।
বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে আসে হানিফের নাম। জানা যায়, আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গী হিসেবে গুজরাতে দাউদের কাজ দেখাশুনোর দায়িত্বে ছিল হানিফ। এছাড়াও সে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা`র সদস্য হিসেবেও কাজ করত। ইন্টারপোলের মাধ্যমে হানিফের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ভারতীয় পুলিস। বিস্ফোরণের পরই ব্রিটেন পালিয়ে যায় সে। প্রায় ১৭ বছরের বেশি সময় হানিফের খোঁজে বিশ্বজুড়ে তল্লাসি চালায় ইন্টারপোল। শেষে ২০১০-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনের বল্টনে একটি মুদির দোকান থেকে ৪৯ বছর বয়সী হানিফকে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ওই মুদির দোকানে মহম্মদ প্যাটেল পরিচয়ে কাজ করছিল হানিফ।
তবে গ্রেফতারের পর ওই বছরই ১৯ মে ব্রিটেনের একটি উচ্চ আদালত হানিফের শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করে। এরপর লন্ডনের আদালতে হানিফকে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানায় ভারত। সুরাট বিস্ফোরণের তদন্তে টাইগার হানিফকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ ভারতের বড়সড় জয়। কারণ হানিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দাউদের ডি-কোম্পানির সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবা`র যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ভারতের গোয়েন্দারা।
First Published: Thursday, May 3, 2012, 13:26