রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজ

রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজ

রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজরাজারহাটে সিন্ডিকেট ব্যবসার জাল কতটা বিস্তৃত, তা কিছুদিন আগেই বাগুইআটিতে স্বপন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু শুধু রাজারহাটই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বনেদি অঞ্চল নিউ আলিপুরে রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজ। যার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত।

সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে প্রোমোটার কিংবা বহুজাতিক সংস্থা। সিণ্ডিকেটের দাদাদের থেকে ছাড় পান না কেউই। কীভাবে কাজ করে এইসব সিণ্ডিকেট? ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা বলছে এই এলাকার যে কোনও ব্লকে বাড়ি করতে গেলে প্রথমেই জমির দামের মোটা টাকা দালালি হিসেবে দিতে হয় সিণ্ডিকেটের দাদাদের।
 
 শুধু তাই নয়, সিণ্ডিকেটের কড়া নিয়ম, এলাকায় বাড়ি তৈরি করতে গেলে বাজার দরের থেকে বেশি হলেও, নির্মাণ সামগ্রী কিনতে হবে তাঁদের কাছ থেকেই।
 
১০০ সিএফটি মিডিয়াম কোর্স বালির বাজার দর যেখানে ২২০০ টাকা, সেখানে সিণ্ডিকেটের দর প্রায় ৩০০০ টাকা। বাজারে ১০০ সিএফটি ফুল কোর্স বালির দর ২৩০০ টাকা হলেও সিণ্ডিকেটের দাম প্রায় ৩২০০ টাকা।
 
১০০ সিএফটি থ্রি-ফোর্থ পিওর স্টোন চিপসের বর্তমান বাজার দর প্রায় ৪৪০০ টাকা। সিণ্ডিকেটের থেকে একই জিনিস ১৬০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন প্রোমোটাররা।
 
এক হাজার ইটের বর্তমান দাম সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। সিণ্ডিকেট থেকে সমপরিমান ইট কিনলে দিতে হয় ৮ হাজার টাকা।
 
এক একটা এলাকায় আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট। কারা ঠিক করেন এই দর?
 
সিন্ডিকেটকে এড়িয়ে, নিউ আলিপুরে রেলের সাইডিং বা দোকান থেকে নিজে নির্মাণ সামগ্রী কিনতে গেলেও বিপত্তি। দোকান মালিকরাই খবর দিয়ে দেবেন সিন্ডিকেটের দাদাদের। অগ্নিশর্মা দাদাদের চোখ রাঙানি এবং হুমকির  চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত ধরেই তাই নির্মাণ সামগ্রী কিনতে অভ্যস্থ হয়ে গেছেন প্রোমোটাররা। কে, কার আগে বহুতল নির্মানের বরাত আদায় করতে পারে তা নিয়েও সিণ্ডিকেট গুলির মধ্যেও চলে লড়াই।
  
নিউ আলিপুরের এম, এন, ও এবং পি ব্লকে সিণ্ডিকেটের মূল পাণ্ডা রাজু চক্রবর্তী ও শিবু দাস। ২ জনেই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। এই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে রাজু এবং শিবুর গ্রিন সিগন্যাল না পেলে কাজ শুরুই করা যায় না। সত্যিই কী তাই? কিন্তু কেন? কেন রাজু চক্রবর্তী বা শিবু দাস ছাড়া কাজ করা যাবে না নিউ আলিপুরে? কে তৈরি করলেন এই অলিখিত নিয়ম? খোঁজ শুরু করেছে '২৪ ঘন্টা'।





First Published: Sunday, March 4, 2012, 13:59


comments powered by Disqus