ধর্মঘটে ট্যাক্সিশূন্য শহর

ধর্মঘটের পথ না ছাড়লে ট্যাক্সিচালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে অনমনীয় মনোভাব নেবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। ১০ দফা দাবিতে একদিনের প্রতীকী ট্যাক্সি ধর্মঘট চলাকালীন হাওড়া স্টেশনে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। অন্যদিকে, এদিনের ট্যাক্সি ধর্মঘটে কার্যত ট্যাক্সিশূন্য ছিল শহর। ১০ দফা দাবিতে সব ক`টি সংগঠনের ডাকা এক দিনের প্রতীকি ট্যাক্সি ধর্মঘটের সর্বাত্মক সাড়া মিলল কলকাতায়। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা মিলিয়ে মোট ট্যাক্সি ৩৩,০০০। তার মধ্যে এদিন পথে নেমেছিল মাত্র ২,৫০০ ট্যাক্সি। ফলে বেশিরভাগ ব্যস্ত এলাকায় ট্যাক্সির দেখা মেলেনি। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন, বিমানবন্দর, ধর্মতলাসহ শহরের অন্যত্রও ট্যাক্সি না পেয়ে অসুবিধায় পড়েন বহু যাত্রী। পরিস্থিতি সামলাতে হাওড়া স্টেশনে সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়। চলেছে কিছু এসি ট্যাক্সিও। কিন্তু এই ট্যাক্সিগুলি যাত্রীদের কাছে যথেচ্ছ ভাড়া চাইতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

মূলত যে দাবিগুলিতে এই ধর্মঘট সেগুলি হল,  ১) অবিলম্বে ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধি, ২) পুলিসি জুলুম ও হয়রানি বন্ধ করা, ৩) ট্যাক্সিতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে আয় বৃদ্ধির অনুমতি, ৪) ২০ শতাংশ নাইট সার্ভিস সারচার্জ চালু করা, ৫) দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইপিসি ৩০২ ধারা বিলোপ, ৬) ৪ এর বদলে ৫ যাত্রী বহনের অনুমতি, ৭) সরকারি উদ্যোগে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র চালু, ৮) প্রাইভেট গাড়ির শাটল খাটা বন্ধ করা, ৯) সরকারি উদ্যোগে প্রি-পেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, ১০) ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো লাইসেন্সে হয়রানি বন্ধ করা

তবে পরিবহণমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্যে স্পষ্ট, একদিনের প্রতিকী ধর্মঘটের পর এবার লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটতে চলেছে ট্যাক্সি ইউনিয়নগুলি। শুক্রবারই এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে করছে সব ট্যাক্সি ইউনিয়ন।