Last Updated: February 28, 2013 19:16

তিনটির মধ্যে দুটিতেই তিন নম্বরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে একজন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। শাসক দলের কাছে আজকের দিনটা মোটেই সুখের হল না। মহানগরের পুলিস কর্মী খুনে শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীদের জড়িয়ে পড়া, রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা, ভাঙর থেকে সিঙ্গুরে অরাজকতা, প্রকাশ্যে দলীয় নেতাদের কোন্দল, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগে জর্জরিত, ক্রমশ কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ ছিল তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তিন কেন্দ্রে জয় পেয়ে তৃণমূল প্রমাণ করতে চেয়েছিল রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনার কোনও প্রভাবই রাজ্যের ভোটারদের মনে পড়েনি। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্যও উপনির্বাচনেকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দিনের শেষে সরকারের ভাঁড়ে যথার্থই মা ভবানী।
উপনির্বাচনে শাসক দলের প্রাপ্তি বলতে ইংরেজবাজারে রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর জয়। তবে এই নির্বাচনে কিছুটা হলেও প্রত্যাবর্তন হল বামেদের। নলহাটি আবার ফিরে এল তাদের হাতে। জিতলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের দীপক চট্টোপাধ্যায়। রেজিনগরে মর্যাদার লড়াইয়ে জিতে গেলেন অধীর চৌধুরীর প্রার্থী। তিন নম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা হুমায়ুন কবীর।
তবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হওয়া কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী কংগ্রেস প্রার্থীকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে ইংরেজবাজারে নিজের রাজত্ব বজায় রাখলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিন বিধানসভা উপনির্বাচন খানিকটা অস্বস্তিতেই ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তবে উপনির্বাচনে দলের বেহাল দশার কথা স্বীকার করতে চাননি তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়। তাঁর মতে রেজিনগর এবং নলহাটিতে এই বারই প্রথম প্রার্থী দিয়ে যথেষ্ট ভাল ফল করেছে তাঁদের দল। তাঁর মতে প্রথমবারেই ওই দুই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা যা ভোট পেয়েছেন, সেই ধারা বজায় থাকলে আসন্ন পঞ্চায়েতে নির্বাচনে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে বামেরা।
First Published: Thursday, February 28, 2013, 19:16