বর্ধমানের তৃণমূল নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

বর্ধমানের তৃণমূল নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

বর্ধমানের তৃণমূল নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারবর্ধমানের এক তৃণমূল নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল এয়ারপোর্ট থানার নারায়নপুরের একটি বহুতল থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের দাবি, মৃত্যুর কারণ হিসেবে সুইসাইড নোটে একাকীত্বকে দায়ী করেছেন তিনি। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার।

এয়ারপোর্ট থানা এলাকার নারায়ণপুরের এই আবাসনে একাই থাকতেন বর্ধমানের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক পিয়ালি মুখার্জি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর আর কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে বর্ধমানের গোলাপবাগের বাড়ি থেকে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যেরা।

পুলিসের দাবি, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। পিয়ালির ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছে। সেখানে নিজের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে একাকিত্বকে দায়ী করেছেন তিনি। যদিও, একে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।

২০১০-এর শেষ থেকে বর্ধমানের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় পিয়ালিকে। ২০১১-য় আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরে ভর্তি নিয়ে জড়িয়ে পড়েন বিতর্কে। অভিযোগ, রাজ্যের এক মন্ত্রীর সুপারিশে ওয়েটিং লিস্টে পাঁচ নম্বরে থাকা পিয়ালি বাকি চারজনকে টপকে স্নাতকোত্তের ভর্তি হয়ে যান। আপত্তি ওঠে তৃণমূলের অন্দর থেকেই। বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন উপাচার্য। পরে অন্য একটি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন পিয়ালি। বর্তমানে বেশ কয়েকটি বড় সংস্থায় আইনী পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। কলকাতায় এসে প্রথমে কেষ্টপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন পিয়ালি। মাস তিনেক আগে নায়ারণপুরের আবাসনের এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবী পিয়ালি। কলকাতায় তৃণমূলের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতামন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর।

আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বুধবার পিয়ালির দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।







First Published: Wednesday, March 27, 2013, 21:58


comments powered by Disqus