পিছু হটল তৃণমূল কংগ্রেস, অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করল শাসক দল

পিছু হটল তৃণমূল কংগ্রেস, অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করল শাসক দল

পিছু হটল তৃণমূল কংগ্রেস, অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করল শাসক দলঅরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় পিছু হঠল তৃণমূল কংগ্রেস। মানহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য আলিপুর আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আজ হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে সেকথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। এই মামলাতেই বিচারককে চাপ দিয়ে অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্দেশ আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল বৈশ্বানরসহ তৃণমূলপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে।আইন অনুসারে নয়। রায় দিতে হবে নিজেদের পক্ষে। তাই বিচারককে হুমকি ও চাপ দিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আলিপুর আদালতের কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে।

ঘটনার সূত্রপাত অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা নিয়ে। আইনজীবীরা কীভাবে বিচারকের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন তার বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল বিচারক সন্দীপ মান্নার চিঠিতে।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির দুশো চার ধারায় নির্দেশ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, তীর্থঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, পার্থসারথি মুখার্জি, অরিন্দম দাস, শেখ আরিফুল মুর্শেদ সহ অন্য আইনজীবীরা। এইকভাবে চাপ দিতে থাকেন হাইকোর্টের আইনজীবীরাও।

বিচারকের আরও বক্তব্য ছিল, শেষপযর্ন্ত এক অস্বস্তিকর অবস্থায় আইনজীবীদের চাপের মুখে অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ২০৪ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

অরুণাভ ঘোষের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খোদ বিচারকের থেকে এই রিপোর্ট পেয়ে তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই হলফনামাতেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের কথা জানিয়েছেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

সাম্প্রতিককালে দুটি ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একটি হল অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা। দ্বিতীয়টি হল এসজেডিএ দুর্নীতি মামলায় মালদার জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমারের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে। এর মধ্যে অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানি মামলায় পিছু হঠল শাসকদল।

First Published: Monday, December 9, 2013, 17:44


comments powered by Disqus