Last Updated: January 14, 2012 21:45

ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরখণ্ডের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে অন্তর্বিরোধ আর অন্তর্ঘাতের খেলা। শাসক বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দু`দলেরই প্রদেশ নেতৃত্বের শিরঃপীড়া বাড়িয়েছে টিকিট না পাওয়া বিদ্রোহীরা। রাজ্যের মোট ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে অন্তত দু`ডজন করে কেন্দ্রে দলেরই বিক্ষুব্ধ সতীর্থদের মুখোমুখি হতে হবে `পাঞ্জা` এবং `কমল` চিহ্নের প্রার্থীদের। বিদ্রোহীদের অনেকেই নিজের নাক কেটে অফিসিয়াল প্রার্থীদের যাত্রা ভঙ্গ করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ৩৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। বিএসপি ৮ এবং উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দল ও নির্দলরা ৩টি করে কেন্দ্রে জয় পান। এবার `দুর্নীতি` ও `খারাপ পারফরম্যান্স`-এর কারণে এক ডজন বিধায়কের টিকিট ছেঁটেছে নীতিন গডকড়ির দল। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মন্ত্রী খাজান দাস এবং গোবিন্দ সিং বিস্ত।

অন্য দিকে প্রাক্তন পশুপালন মন্ত্রী এম পি নৈথানি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের অনুগামী জোত সিং বিস্ত-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি কংগ্রেস। দু'দলের এই টিকিট না পাওয়া নেতাদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
তবে এই আশাভঙ্গ আর বিক্ষোভের চোরাস্রোতের মধ্যেই নিজের ভাইপো মণীশ তিওয়ারি ও ঘনিষ্ঠ অনুগামী আর্যেন্দর শর্মার জন্য নিরাপদ আসনের সংস্থান করেছেন নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি। অবৈধ পিতৃত্বের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এবার এন ডি তিওয়ারিকে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের দীর্ঘদিনের বশংবদ হওয়ার কারণে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পুরোপুরি নিরাশ করেননি দশ জনপথবাসিনী।
First Published: Saturday, January 14, 2012, 21:52